একটা সময় করোনাভাইরাসের হটস্পট ছিল। সেই মুম্বইয়ের ধারাভিতে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও নয়া আক্রান্তের হদিশ মেলেনি বলে শুক্রবার জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। গত এপ্রিলের বিশ্বের অন্যতম বড় বস্তিতে করোনার প্রকোপ শুরুর পর এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল।মুম্বইয়ের প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলার প্রায় ২০ দিন পর ১ এপ্রিল ধারাভিতে সেই ভাইরাসের থাবা পড়েছিল। তারপর হুড়মুড়িয়ে বেড়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা। মাত্র ২.৫ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ৬.৫ লাখের মতো মানুষ বসবাস করার ফলে সংক্রমণ হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সংক্রমণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে মহারাষ্ট্র সরকার। বাড়ানো হয় নমুনা পরীক্ষা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুরু হয় লাগাতার সমীক্ষা। তার জেরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে। আপাতত সেখানে সক্রিয় আক্রান্তের সখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২। এক পুর আধিকারিককে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, আটজন করোনা আক্রান্ত বাড়িতে নিভৃতবাসে আছেন। কোভিড কেন্দ্রে আছেন চারজন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,৭৮৮। তার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩,৪৬৪। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে ৬৪৩ জন নয়া করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন ১২ জন। তার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৯,২০৪। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১,০৪৫। দৈনিক নয়া আক্রান্তের মধ্যে মহারাষ্ট্রে শীর্ষে আছে মুম্বই। তারপর আছে পুণে এবং নাগপুর। সেদিন পুরো রাজ্যে ৩,৫৮০ জন করোনার কবলে পড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৯০৯,৯৫১। আরও ৮৯ জনের প্রাণহানির ফলে সার্বিকভাবে মৃতের সংখ্যা ৪৯,০০০-এর গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাতেও অবশ্য আশাল আলো দেখা দিয়েছে বলে দাবি রাজ্য সরকারের। গত মাসের প্রথম ২৪ দিনে মহারাষ্ট্রে ১০৯,১৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। ডিসেম্বরে সেই সংখ্যাটা ৯৮,৫০৩। একইসঙ্গে গত ২০ দিনে মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫,০০০-এর নীচে আছে।