জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পরে ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ফের জিপলাইন অপারেটর মুজ্জামিলকে তলব করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। আর এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন ওই জিপলাইন অপারেটরের পরিবার।
আরও পড়ুন-'বিজেপির মুখপাত্র শশী থারুর?' কেন্দ্রের সমর্থন, দলের সাংসদের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার মুহূর্তে এক পর্যটক জয়রাইড করছিলেন। সেই সময়ে একটি ভিডিও করেন তিনি। সেই ভিডিওতেই জঙ্গিদের নৃশংস হত্যালীলার ছবি ধরা পড়ে। শুধু তাই নয়, পর্যটকের করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁর জিপলাইন অপারেটর হামলার মুহূর্তেই ধর্মীয় বাক্য 'আল্লাহু আকবর' বলেন। আপাতভাবে তাতে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই ঠিকই, কিন্তু ওই ধর্মীয় বাক্য বার তিনেক বলার পরেই জঙ্গিরা নিরীহ পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। তাই ফের ওই জিপলাইন অপারেটরকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। দুই ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। যিনি ওই ভিডিওটি করেছিলেন ওই ব্যক্তির নাম ঋষি ভাট। ২২ এপ্রিল ছুটি কাটানোর জন্য স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে তিনিও গিয়েছিলেন পহেলগাঁওয়ে।কিন্তু সে দিন জিপলাইনে থাকার জেরে প্রাণ বেঁচে যায় তাঁর। ঋষির দাবি, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের সময় ওই অপারেটরের মুখে ওই বাক্য শোনা যায়নি। শোনা যায় কেবল তিনি জিপলাইনে ওঠার পর।
এদিকে, মুজ্জামিল নামের ওই অপারেটর জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু তার বাবা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, আমি ভিডিওটি দেখিনি...আমরা মুসলিম, ঝড় এলেও আমরা 'আল্লাহু আকবর' বলি। এতে কি আসে যায়?' অন্যদিকে অপারেটর মুজ্জামিলের দাদা মুখতার দাবি করেছেন, তাঁর ভাই দৌড়ে বাড়ি আসে। চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ ছিল। কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে, কারা করছে, কোনও কিছু সম্পর্কে মুজ্জামিলের ধারণা ছিল না। এমন হামলা যে হতে পারে সে স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি।
আরও পড়ুন-'বিজেপির মুখপাত্র শশী থারুর?' কেন্দ্রের সমর্থন, দলের সাংসদের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস
এই প্রসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের গ্র্যান্ড মুফতি নাসির-উল-ইসলাম কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন, 'আল্লাহু আকবর'-র অর্থ 'ঈশ্বর মহান', এটি এমন একটি বাক্য যা বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে, ঠিক যেমন অন্যান্য ধর্মের লোকদের ভক্তি প্রকাশের নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। এই ধরনের অভিব্যক্তিকে অপমান করা কেবল অজ্ঞতাই নয়, বরং মূল্যবোধহীনতার লক্ষণও।