কয়েক মাস ধরে লাগাতার সংঘাত চলছিল। এমনকী অস্ট্রেলিয়া থেকে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন সরিয়ে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। শেষপর্যন্ত অবশ্য সদর্থক ফল মিলেছে। ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার সেই সংক্রান্ত একটি নয়া আইন পাশ করেছে স্কট মরিসনের সরকার। ফলে এবার থেকে নিজেদের সাইটে সংবাদ প্রকাশের জন্য প্রকাশক সংস্থাকে অর্থ দেবে ফেসবুক, গুগলের মতো সংস্থা। যে সংস্থাগুলির আয়ের প্রাথমিক উৎস হল বিজ্ঞাপন। একইসঙ্গে গত কয়েক সপ্তাহে রুপার্ড মার্ডকের নিউজকর্প-সহ একাধিক অস্ট্রেলিয়ান প্রকাশকদের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তিও সেরেছে গুগল। সেই ঘটনার রেশ ধরে মুনাফা বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে ‘দ্য ইন্ডিয়ান নিউজপেপার সোসাইটি’ (আইএনএস)। গুগলকে চিঠি লিখে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের (কনটেন্ট) জন্য ‘উপযুক্তভাবে বিজ্ঞাপনের আয় বণ্টনের’ দাবি তোলা হয়েছে। গুগল ইন্ডিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার সঞ্জয় গুপ্তকে উদ্দেশ করে লেখা চিঠিতে আইএনএসের সভাপতি এল আদিমুলাম জানিয়েছেন, ‘সংবাদপত্র যে খবর প্রকাশ করে, তার জন্য’ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার ‘টাকা’ দেওয়া উচিত। তথ্য সংগ্রহ এবং যাচাইয়ের জন্য খবরের জায়গায় (ফিল্ড) ‘যথেষ্ট ব্যয়’ করে হাজার-হাজার সাংবাদিককে নিয়োগ করে সংবাদপত্র। আইএনএসের তরফে জানানো হয়েছে, সংবাদপত্র দুনিয়ার আর্থিক মেরুদণ্ড হল বিজ্ঞাপন। কিন্তু ‘গুগল বড়সড় পদক্ষেপ ফেললেও ডিজিটাল দুনিয়ায় সংবাদপত্র প্রকাশকদের বিজ্ঞাপনের মুনাফার ভাগ ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। (বিজ্ঞাপনী মুনাফার) ছোটো অংশ পাচ্ছে প্রকাশকরা।’ বিশ্বব্যাপী ঐতিহ্যগত সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিজ্ঞাপন যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভুয়ো খবরের মোকাবিলার জন্য রেজিস্ট্রার্ড নিউজ পাবলিশার্সের এডিটোরিয়াল কনটেন্টকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিও তুলেছে আইএনএস। জানানো হয়েছে, গুগল শুধু সার্চ ইঞ্জিনেই সীমাবদ্ধ নেই। তা বিজ্ঞাপনী-প্রযুক্তি (অ্যাড-টেক) সংস্থা এবং অ্যানালিটিকস ফার্মও বটে। কিন্তু গুগলের বিজ্ঞাপনী ভ্যালু চেন সংক্রান্ত তথ্য না পাওয়ায় প্রকাশকদের একটি অস্বচ্ছ বিজ্ঞাপনী ব্যবস্থার ঝক্কি সামলাতে হয়। সেই পরিস্থিতিতে প্রকাশকদের মুনাফার অংশ বাড়িয়ে ৮৫ শতাংশ করার পাশাপাশি মুনাফা সংক্রান্ত রিপোর্টের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা আনার জন্য গুগলকে আর্জি জানিয়েছে আইএনএস।কী কারণে সেই মুনাফার দাবি করা হচ্ছে, তাও স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। আইএনএসের বক্তব্য, অন্যান্য তথ্য বণ্টনকারী পোর্টালে যে ভুয়ো খবর পাওয়া যায়, সেগুলির সঙ্গে যে কোনও নামী প্রকাশনা সংস্থার খবর বা এডিটোরিয়াল কনটেন্টের আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে। আইএনএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'সোসাইটি জানিয়েছে যে বিশ্বাসযোগ্য কনটেন্টের কারণে জন্মলগ্ন থেকে ভারতে আস্থা অর্জন করতে পেরেছে গুগল।'