দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গেরুয়া শিবির ধরাশায়ী হলেও শেষমেষ সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ। আর এই জোট সরকারে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা নরেন্দ্র মোদীর। সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্র নেতারা। সেই তালিকায় রয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড। কিন্তু, তার আগেই বিশাল বড় পদক্ষেপ করল নেপাল সরকার। ১১টি দেশ থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিল নেপাল সরকার। আর সেই তালিকায় রয়েছে ভারত। হঠাৎ করে নেপাল সরকারের কেন এই সিদ্ধান্ত? তাই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
আরও পড়ুন: ভারত সফরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী, বিদ্যুৎ-রেল নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা
নেপালের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, যে ১১টি দেশ থেকে রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে তাঁদের সকলকেই নেপালি কংগ্রেস পার্টির কোটা থেকে নিয়োগ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার নেপাল সরকারের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারত ছাড়াও এই তালিকায় যে দেশগুলি রয়েছে সেগুলি হল- আমেরিকা, ব্রিটেন, উত্তর কোরিয়া, কাতার, স্পেন, ডেনমার্ক, ইসরাইল, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও পর্তুগাল। ভারতে নেপালের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হলেন ড. শঙ্কর শর্মা।
নেপালের একজন মন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশ মন্ত্রী নারায়ণ শ্রেষ্ঠা নেপালি কংগ্রেস এবং অন্যান্য দলের কোটা থেকে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করার প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, এরকম সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলে প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু, মন্ত্রীর তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী দাহাল এবং সিপিএন-ইউএমএল সভাপতি কেপি শর্মা অলি রাষ্ট্রদূতদের ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আগে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়েছিলেন পুষ্প কমল। সেই সময় ওই রাষ্ট্রদূতদের নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু, পরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল নেপালি কংগ্রেসের জোট থেকে বেরিয়ে আসেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সিপিএন-ইউএমএল সঙ্গে হাত মেলান। তার পরেই এমন সিদ্ধান্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রীর। এসব রাষ্ট্রদূতদের ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে ফিরতে বলা হয়েছে।