গত কয়েকদিন ধরে দিল্লিতে একের পর এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যার ফলে অনেকেরই ধারণা হয়েছিল, আজ 'বড় কিছু' হতে পারে দিল্লিতে। এরই মাঝে এনডিএ সাংসদদের বৈঠক ডাকা হয়েছিল আজ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতীয় সেনাকে অপারেশন সিঁদুর এবং অপারেশন মহাদেবের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে প্রস্তাবনা পাশ করেছেন সাংসদরা। এদিকে বৈঠকে বিরোধীদের তোপ দেগে মোদী বলেন, 'অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে আলোচনা চেয়ে বিরোধীরা নিজেরাই নিজেদের পায়ে গুলি করেছে।' (আরও পড়ুন: লালকেল্লায় লুকিয়ে রাখা 'বোমা' উদ্ধার করতে ব্যর্থ, ৭ পুলিশকর্মী সাসপেন্ড দিল্লিতে)
আরও পড়ুন: প্যারোলে মুক্ত ধর্ষণ-হত্যায় দোষী সাব্যস্ত রাম রহিম, এই নিয়ে কতবার ছুটি পেল সে?
এদিকে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও শ্রদ্ধা জানানো হয় বিজেপি সাংসদদের তরফ থেকে। বিজেপি এবং তার সহযোগী, তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি), জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) এবং অন্যান্য দলের সাংসদরা 'মোদীর অনন্য নেতৃত্বকে' অভিবাদন জানিয়েছেন। এদিকে এনডিএ সাংসদদের পাশ করা প্রস্তাবনায় বলা হয়, 'ভারতে যদি জঙ্গি হামলা হয়, তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। আমরা কেবল আমাদের শর্তে উপযুক্ত জবাব দেব। যেখান থেকে সন্ত্রাসবাদের শিকড় উঠে আসছে, সেই সব জায়গায় আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব। দ্বিতীয়ত, ভারত কোনও পরমাণু ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না। পরমাণু ব্ল্যাকমেইলের আড়ালে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদীদের গোপন আস্তানায় সুনির্দিষ্টভাবে এবং নিশ্চিতভাবে হামলা চালাবে ভারত। তৃতীয়ত, আমরা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা সরকার এবং সন্ত্রাসবাদের মাস্টারমাইন্ডদের মধ্যে পার্থক্য করব না।' (আরও পড়ুন: ১৭০০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির মামলায় ইডির মুখোমুখি হতে দিল্লিতে অনিল আম্বানি)
আজ ৫ অগস্ট। ৬ বছর আগে আজকের দিনেই ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এরই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই ঘটনার ষষ্ঠ বর্ষপূর্তিতে কি কেন্দ্রীয় সরকার ফের জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে? এই নিয়ে চরম জল্পনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তির আগের সন্ধ্যায় দিল্লিতে একের পর এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আবহে মনে করা হচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এর আগে একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন। সেই তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে ৫ অগস্ট নিয়ে। এই আবহে ৪ অগস্ট সন্ধ্যায় অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো প্রধান তপন কুমার ডেকা এবং স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহনের। তবে এই বৈঠক নিয়ে কোনও তথ্য বাইরে প্রকাশ করা হয়নি।