সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (SCO) একটি গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সপ্তাহেই উজবেকিস্তানে যাবেন। ইউক্রেন সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে এই সম্মেলন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চিন এবং রাশিয়া SCO-র অন্যান্য সদস্য দেশগুলিকে নিজেদের কাছে টেনে প্রভাব বিস্তারের জন্য এই মঞ্চকে ব্যবহার করতে পারে। (আরও পড়ুন: চিনের কপালে গভীর চিন্তার ভাঁজ, বঙ্গোপসাগরে যৌথ সামরিক মহড়ায় ভারত-জাপান)
আগামী ১৫ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাশাপাশি এই সময়ে সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানে থাকবেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। তবে এই সম্মেলনের মাঝে দুই প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের আলাদা করে কোনও বৈঠক হবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে গত তিনবছরে এই প্রথমবার মোদী-জিনপিং মুখোমুখি সাক্ষাতের একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অনুমানই করতে পারেনি সরকার... আরও অেক জীবন বাঁচানো যেত’, দাবি সংসদীয় কমিটির
উল্লেখ্য, সম্প্রতি লাদাখে হট স্প্রিংয়ে পয়েন্ট-১৫ থেকে নিজেদের সৈন্য প্রতাহার করেছে ভারত এবং চিন। ২০২০ সালের থেকে লাদাখে ভারত-চিন সংঘাত জারি রয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসে এই টানাপোড়েন রক্তারক্ত আকার ধারণ করেছিল। শহিদ হয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় সেনাকর্মী। এরপর থেকে ক্রমেই অবনতি ঘটেছে ভারত-চিন সম্পর্কের। তবে সমরকন্দে মোদীর সঙ্গে জিনপিংয়ের বৈঠক ঘিরে তৈরি হচ্ছে জল্পনা। জদিও দুই দেশের তরফে এই বিষয়ে কোনও কিছু বলা হয়নি। তবে মুখোমুখি বৈঠক না হলেও সম্মেলন চলা কালীন অন্তত দুটি সেশনের জন্য মোদী এবং জিনপিং একই ঘরে উপস্থিত থাকবেন। এই আবহে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা যেতে পারে দুই নেতাকে।