মুম্বইয়ে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার কাছে ফেরি ডুবে যাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে দু'জনের মৃত্যু হল। এখনও পর্যন্ত পাঁচজন নিখোঁজ আছেন। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মুম্বই উপকূলে ফেরি দুর্ঘটনার পরে এখনও পর্যন্ত দু'জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৭৭ জনকে। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে বুধবার বিকেলের দিকে মুম্বইয়ের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র এলিফ্যান্টা দ্বীপে ওই ফেরিটি যাচ্ছিল। সেইসময় ফেরিতে ধাক্কা মারে একটি স্পিডবোট। সেই স্পিডবোট আদতে কার, তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন দাবি করা হচ্ছে।
নৌসেনা, উপকূলরক্ষী ও মেরিন পুলিশের যৌথ উদ্ধারকাজ
তারইমধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু করে ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। ভারতের কোস্টগার্ডের ইনস্পেক্টর জেনারেল ভীষ্ম শর্মা জানিয়েছেন, বিকেল চারটে নাগাদ সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারপরই দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে মেরিন পুলিশ, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী। ভারতীয় নৌসেনার এক মুখপাত্র জানান, দুর্ঘটনাস্থলে যায় নৌসেনার ১১টি বোট, মেরিন পুলিশের তিনটি বোট এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি বোট। উদ্ধারকাজে নামানো হয় চারটি হেলিকপ্টারও।
উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে
তারইমধ্যে ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত জওহরলাল নেহরু বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল দিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি ভেসেল যাচ্ছিল। তাতে ১০ জনকে নেওয়া যায়। কিন্তু বিপদের মুখে ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের নিয়ে আসা হয় জওহরলাল নেহরু বন্দর কর্তৃপক্ষের হাসপাতালে।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র মেরিটাইম বোর্ডের সিইও মানিক গুরসাল জানিয়েছেন, যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৫৬ জনকে নবি মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১০ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মুম্বই ডকইয়ার্ড। গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ায় নিয়ে যাওয়া নয়জনের। পাঁচজনের এখনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র মেরিটাইম বোর্ডের সিইও।
আরও পড়ুন: Hoax Bomb Threat: এবার থেকে বিমানে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ালেই দিতে হতে পারে ১ কোটি টাকার জরিমানা!
মহারাষ্ট্র সরকার কী বলল?
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখে যাওয়া হচ্ছে। এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।