অনন্তের বিয়ে নিয়ে মুকেশ বলেন, 'অনন্ত এবং রাধিকা নিজেদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছে। আপনাদের (অতিথিদের) আশীর্বাদ তাদের জন্য মঙ্গলময় হবে। আমি বিশ্বাস করি, আজ আমার বাবা ধীরভাই আম্বানিও স্বর্গ থেকে আমাদের আশীর্বাদ করছেন। আমি নিশ্চিত, আজ তিনি দ্বিগুণ খুশি।'
বাবা-মায়ের সঙ্গে অনন্ত আম্বানি
গতকাল থেকেই জামনগরে শুরু হয়ে গিয়েছে মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠান। আর সেখানেই অতিথিদের স্বাগত জানাতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান। ছেলে অনন্তকে নিয়ে মুকেশ বলেন, 'আমি অনন্তে আমার বাবা ধীরুভাইকে দেখতে পাই।' এদিকে অনন্তের বিয়ে নিয়ে মুকেশ বলেন, 'অনন্ত এবং রাধিকা নিজেদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছে। আপনাদের (অতিথিদের) আশীর্বাদ তাদের জন্য মঙ্গলময় হবে। আমি বিশ্বাস করি, আজ আমার বাবা ধীরভাই আম্বানিও স্বর্গ থেকে আমাদের আশীর্বাদ করছেন। আমি নিশ্চিত, আজ তিনি দ্বিগুণ খুশি।' (আরও পড়ুন: প্রবল তুষারপাতে ঢাকল আফগানিস্তান! মৃত ১৫ জন, প্রাণ হারিয়েছে ১০০০০ গবাদি পশু)
মুকেশ আম্বানি বলেন, 'জামনগরে আমার বাবার প্রিয় নাতির বিয়ে হচ্ছে, তা দেখতে পেলে তিনি নিশ্চিত খুবই খুশি হতেন। এই জামনগরই আমার এবং আমার বাবার জন্য কর্মভূমি। আমরা আমাদের মিশন ও প্যাশন খুঁজে পেয়েছি এখানেই। ৩০ বছর আগে এই জমি খাঁ খাঁ করত। তবে আজ এখানে যা দেখছেন, তা আমার বাবার স্বপ্নের বাস্তবায়ন। রিলায়েন্সের ইতিহাসে জামনগর টার্নিং পয়েন্ট। নতুন ভারতের এ কঝলক এই জামনগরে এখন দেখা যাবে।'
এরপর ছেলে অনন্তকে নিয়ে মুকেশ বলেন, 'অনন্তের অর্থ, যার কোনও শেষ নেই। আমি অনন্তের মধ্যে অপরিসীম সম্ভাবনা দেখতে পাই। আমি আমার বাবাকে তাঁর মধ্যে দেখতে পাই। আমার বাবার মধ্যে যে মনোভাব ছিল, সেই 'যেকোনও কিছু করে ফেলব' মনোভাব অনন্তের মধ্যেও আছে। আর রাধিকার মধ্যে অনন্ত একজন ভালো পার্টনারকে খুঁজে পেয়েছে। রাধিকা খুবই সৃজনশীল। অনন্ত এবং রাধিকার জুটি ঈশ্বরে বানিয়েছেন।'