এ যেন হৃতিক রোশনের ‘কোই মিল গয়া’। সিনেমায় ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা গিয়েছিল। মিলেছিল এলিয়েনদের সংকেত। আর সিনেমার সেই কাল্পনিক দৃশ্যের কিছুটা ঝলক মিলল বাস্তব জীবনে। মঙ্গল গ্রহ থেকে এল সাংকেতিক বার্তা। তবে সেই বার্তা পাঠায়নি ভিনগ্রহী বা এলিয়েনরা। সেই উদ্ভট কাণ্ড করেছে ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থা (European Space Agency বা ইএসএ)। পরীক্ষার আগে যেমন ‘মক টেস্ট’ হয়, বিশেষ উপায়ের মাধ্যমে সেরকমভাবেই লাল গ্রহ থেকে ‘মক সিগন্যাল’ পাঠানো হয়েছে। যা ইতিহাসে প্রথমবার হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থা।
গত ২৪ মে রাত ন'টায় (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) সেই এনকোডেড বার্তা ফুটে ওঠে। 'এ সাইন ইন স্পেস' প্রোজেক্টের আওতায় সেই বার্তা এসেছে। যে সংস্থার মহাকাশযান ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে মঙ্গল গ্রহের উপর নজর রেখেছে। সম্ভাব্য জৈবিক বা ভূতাত্ত্বিক কার্যকলাপের প্রমাণের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থা। তারইমধ্যে যে ‘মক সিগন্যাল’ এসেছে, তা ঐতিহাসিক বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: ISRO Research: DSLR ক্যামেরাতেই বাজিমাত! ২ কোটি আলোকবর্ষ দূরে থাকা নক্ষত্রের ছবি তুলল ইসরো
ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, জার্মানিতে মহাকাশ সংস্থার কন্ট্রোল সেন্টার থেকে ১০ মে মহাকাশযানের কাছে সেই বার্তা পাঠানো হয়েছিল। তারপর সেটা রাখা হয়েছিল 'মেমোরি'-তে। 'টেলিমেট্রি'-তে পরিণত করা হয়েছিল। তারপর পৃথিবীতে সেই বার্তা ফেরত পাঠানো হয়েছে।' সেইসঙ্গে মহাকাশ সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের সব দেশের মানুষ এবং বিশেষজ্ঞদের সেই বার্তা ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। যে তথ্য সুরক্ষিতভাবে রাখা হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থার ড্যানিয়েলা দে পাউলিস বলেছেন, ‘মানব সভ্যতার গোড়া থেকেই শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অর্থের সন্ধান চালিয়ে আসছেন মানুষ। মহাকাশ জগতের সভ্যতা থেকে কোনও বার্তা পাওয়া গেলে তা সম্পূর্ণ মানবজাতির জন্য নয়া অভিজ্ঞতা হবে।’ ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওই ‘মক’ সিগন্যাল পাঠানোর জন্য এক্সোমার্স ট্রেস গ্যাস অরবিটারের ব্যবহার করা হয়েছে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক