ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ। সিগন্যাল না পাওয়ার কারণে আংহাদি গ্রামের কাছে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে মেলেনি সিগন্যাল। এরপরে দুষ্কৃতীরা একের পর এক যাত্রীদের জিনিসপত্র ছিনতাই করতে থাকে। রেল সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীরা কেউ ট্রেনে ওঠেনি।
মাঝরাতে ট্রেন থেকে যাত্রীদের জিনিসপত্র ছিনতাই। প্রতীকী ছবি
এক্সপ্রেস ট্রেনে আবারও ছিনতাই। মধ্যরাতে সিগন্যাল দাঁড়িয়ে থাকা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে একের পর এক যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের খেদা জেলায় ইন্দোরগামী গান্ধীধাম–ইন্দোর এক্সপ্রেসে। সব মিলিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা প্রায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মূল্যের জিনিসপত্র ছিনতাই করেছে। এই ঘটনায় ফের ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারে একটি বিশেষ টিম গঠন করেছে রেল পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত রেল পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ। সিগন্যাল না পাওয়ার কারণে আংহাদি গ্রামের কাছে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে মেলেনি সিগন্যাল। এরপরে দুষ্কৃতীরা একের পর এক যাত্রীদের জিনিসপত্র ছিনতাই করতে থাকে। রেল সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীরা কেউ ট্রেনে ওঠেনি। তারা বাইরে থেকেই যাত্রীদের কারও কাছ থেকে সোনার চেন, কারও কাছ থেকে মোবাইল, ব্যাগ এবং অন্যান্য দামি জিনিসপত্র ছিনতাই করেছে। মূলত জানলার ধারে বসে থাকা যাত্রীদেরই টার্গেট করেছিল দুষ্কৃতীরা। এরপর তারা অন্ধকারে গায়েব হয়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়। শোরগোল পড়ে যায় গোটা ট্রেনে। পুলিশ জানিয়েছে, নগদ টাকা, সোনার গহনা, মোবাইল ফোন সহ প্রায় ৩ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার জিনিস ছিনতাই হয়েছে এদিন। পুলিশের অনুমান, কোনও গ্যাং এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। পশ্চিম রেলওয়ের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট সরোজ কুমারী বলেন, ‘আমরা দুষ্কৃতীদের ধরতে দল গঠন করেছি।’ জানা গিয়েছে, ওই সিগন্যালটি দীর্ঘক্ষণ ধরে লাল হয়ে থাকে। কেন সিগন্যালে সমস্যা দেখা দিল? সেক্ষেত্রে ছিনতাইয়ে সুবিধার জন্য দুষ্কৃতীরা সিগন্যালটিতে কোনও গোলযোগ তৈরি করেছিল কিনা? তা জানার চেষ্টা করছে রেল।