মন্দিরের প্রাণামী হিসাবে আসা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা চিনের। একটি নয়, চিনের একাধিক বৌদ্ধ মন্দিরের কিউআর কোড ওলট-পালট করে দিয়ে এই টাকা সেই যুবক হাতিয়েছে বলে খবর। প্রশ্ন উঠতেই পারে, কিউ আর কোড কীভাবে কারচুপি সে করেছে? দেখে নিন গোটা ঘটনা।
চিনের শানজি, সিচুয়ান, চংকুইং প্রভিন্সের পর পর মন্দিরে এই চুরির কীর্তি চালিয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত যুবক। ‘বেজিং ইউথ ডেলি’র রিপোর্ট দাবি করছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ওই যুবক একজন আইন বিষয়ক স্নাতক। এবার আসা যাক তাঁর কুকীর্তির খতিয়ানে। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ওই যুবক, মন্দিরে প্রণামীর জায়গায় রাখা কিউ আর কোডের অংশটি সরিয়ে, মন্দির কর্তৃপক্ষের কিউআর কোডের জায়গায়, নিজের ব্যক্তিগত নম্বরের কিউআর কোডটি লাগিয়ে দিতেন। এরফলে যেটা হত, কেউ মন্দিরে কিছু প্রণামী দিলেই, সেই টাকা চলে যেত ওই যুবকের অ্যাকাউন্টে। এই কীর্তি চালিয়ে, ৪,২০০ মার্কিন ডলারেরও বেশি টাকা তিনি হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই টাকা ভারতীয় অঙ্কে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। সদ্য চিনের বাওজি সিটির ফামেন মন্দিরে যুবক ওই কীর্তি করার সময়, তা ভিডিয়োতে ধরা পড়ে। ভিডিয়োর ছবি শেয়ার করে শানজি পুলিশ। ভিডিয়োতে ধরা পড়ে হাড়হিম করা দৃশ্য।
( RG Kar Investigation: ঘটনার আগে কলকাতার বাইরে ছিলেন সঞ্জয়? সেই অভিশপ্ত রাতে তাঁর কার কার সঙ্গে দেখা হয়? খোঁজ নিচ্ছে CBI)
ভিডিয়োতে দেখা যায়, যখন ওই বৌদ্ধ মন্দিরে সকলে মিলে মাথা নত করে প্রার্থনায় ব্যস্ত, তখন এই যুবকও সকলের মাথা নিচু করার সুযোগে অত্যন্ত সন্তর্পণে মন্দিরের প্রণামী বক্সের কিউআর কোডটি সরিয়ে নিজের কিউআর কোড লাগিয়ে দিচ্ছেন। নিজের কিউআর কোডটি যুবক সঙ্গেই এনেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এই কীর্তি করেই তিনি ফের মাথা নিচু করে প্রথা মেনে প্রার্থনা শুরু করেন। যেন কিছুই হয়নি! এই দৃশ্যে ধরা পড়ে ক্যামেরায়। এদিকে ঘটনায় তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর পুলিশ তাঁকে ধরতেই, শেষমেশ যা টাকা হাতিয়েছিলেন তিনি এভাবে, সেই সমস্ত টাকা তিনি ফিরিয়ে দেন। এই তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।