কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে এক ৫৯ বছর বয়সী ব্যক্তির সঙ্গে ঘটে গেল ভয়াবহ কাণ্ড। এই ঘটনা রবীন্দ্রন নায়ারের। তিনি রুটিন চেক আপ করাতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। রবীন্দ্রনের অভিযোগ, তিনি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে, হাসবপাতালের লিফ্টে ২ দিন ধরে আটকে পড়েন। বহুবার অ্যালার্ম বাজিয়েও, হাঁকডাক করেও ২ দিন ধরে লাভ হয়নি। শেষে কীভাবে উদ্ধার হলেন?
আর চার পাঁচজন রোগীর মতো রবীন্দ্রনও তিরুঅনন্তপুরমের হাসপাতালের ওপি ব্লকে দেখাতে গিয়েছিলেন ডাক্তার। ডাক্তারের সঙ্গে রুটিন চেক আপের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল রবীন্দ্রনের। তবে বিপত্তি ঘটে যায়, হাসপাতালের লিফ্টে। হাসপাতালের ওপি ব্লকে শনিবার থেকে টানা ২ দিন রবীন্দ্রন আটকে ছিলেন বলে অভিযোগ। কেরলের বিধানসভার কর্মী রবীন্দ্রন। তাঁর স্ত্রী তিরুঅনন্তপুরমের ওই হাসপাতালেরই কর্মী। রবীন্দ্রন জানান, হাসপাতালে চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফেরার পথে লিফ্ট থেকে বের হতে গিয়ে, তিনি সেখানে আটকে পড়েন। আর সেই অবস্থায় ২ দিন ছিলেন লিফ্টে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘তিনি দোতলায় যাওয়ার জন্য লিফটে উঠেছিলেন কিন্তু লিফটটি নিচে নেমে খোলেনি বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছিলেন কিন্তু কেউ আসেনি। তাঁর ফোনও বন্ধ ছিল।’ জানা যাচ্ছে, লিফ্ট দুটি পর পর তলার মধ্যে আটকে গিয়েছিল। সেই সময় রবীন্দ্রনের ফোন হাত থেকে পড়ে যায়। ফলে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এর জেরে তিনি বাইরে কাউকে ফোন করতে পারেননি।
( Rathayatra 2025 date Time: রথযাত্রা ২০২৫ সালে কবে পড়ছে? পুরীর বহুদা যাত্রার দিনে দেখে নিন তারিখ, তিথি)
রবীন্দ্রন জানাচ্ছেন, তিনি বাইরের সকলকে ডাকতে গিয়ে, অ্য়ালার্ম বাজান। সকলকে ডাকতে থাকেন, তবে লাভের লাভ হয়নি। লিফ্টের ভিতরের অ্যালার্ম বাজালেও, তিনি কোনও সাড়া পাননি। রবীন্দ্রন বলছেন,'আমি লিফটের ভিতরে তালিকাভুক্ত সমস্ত জরুরি নম্বরে কল করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কেউ উত্তর দেয়নি। অ্যালার্মও বেজে উঠল, কিন্তু কেউ এল না। কিছুক্ষণ পরে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি দ্বিতীয় শনিবার এবং পরের দিন একটি রবিবার, এবং তারপর আমি সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।' ভয়ঙ্কর সেই পরিস্থিতিতে লিফ্টের ভিতর তাঁর সঙ্গে কোনও ঘড়ি ছিল না। ফলে রবীন্দ্রন বুঝতে পারেননি সময়। ততক্ষণে ফোনও ভেঙে যায়। রবীন্দ্রন বলেন, '…পরে, কিছুক্ষণ পরে, আমি লিফটের ভিতরে সময় বুঝতে পারছিলাম না। আজ সকালে, একজন অপারেটর এসেছিলেন, এবং আমি অ্যালার্ম টিপলাম। আমরা দুজনেই জোর করে দুপাশ থেকে দরজা খুলে দিলাম, আর আমি লাফ দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।' পরিবারের দাবি, লিফ্ট যে অচল রয়েছে, তার কোনও নোটিস সেখানে ছিল না।