রাজ্যসভায় এবার আবেগঘন কংগ্রেসের সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে। বিজেপির সাংসদ ঘনশ্যাম তিওয়ারির করা পরিবারবাদ নিয়ে এক মন্তব্যের জেরে সরব হন খাড়গে। তিনি রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে আর্জি করেন যাতে তিনি, ঘনশ্যাম তিওয়ারির করা পরিবারবাদ নিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধে করা মন্তব্যের অংশ অপসারিত করেন সংসদের রেকর্ড থেকে।
মল্লিকার্জুন খাড়গের আবেদনের পরই জগদীপ ধনখড় জানান, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে থাকা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় আশ্বাস দেন যে, কোনও মন্তব্য যা কংগ্রেসের সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গেকে আঘাত করেছে, তা সংসদের রেকর্ড থেকে বাদ যাবে। উল্লেখ্য, মল্লিকার্জুন খাড়গের রাজনৈতিক সফর নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির ঘনশ্যাম তিওয়ারি। ঘনশ্যাম তিওয়ারি বলেন, মল্লিকার্জুন খাড়গের গোটা পরিবার রাজনীতিতে ছিলেন। যার পাল্টা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘উনি পরিবারবাদ নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, আমি আর্জি জানাচ্ছি, তা অপসারণের।’ মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, তাঁর পরিবারে তিনিই প্রথম রাজনীতিবিদ। তাঁর পরিবারে, তাঁর আগে, আর কেউ কখনও রাজনীতি করেননি। এই প্রসঙ্গে তিনি তাঁর বাবার কথা তোলেন। মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছিল ৮৫ বছর বয়সে। এটা শুনে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, তিনি আশা করেন, মল্লিকার্জুন খাড়গে তাঁর বাবার চেয়েও বেশি দীর্ঘজীবী হবেন। এই কথা শুনেই আবেগঘন মল্লিকার্জুন খাড়গে বলতে থাকেন, ‘বেশিদিন বাঁচতে চাই না এই পরিবেশে।’
জগদীপ ধনখড় বলেন, তিনি মনে করেন না যে, বিজেপি নেতা ঘনশ্যাম তিওয়ারি, খাড়গেকে উদ্দেশ্য করে কোনও আঘাতপূর্ণ কথা বলতে চেয়েছেন। জগদীপ ধনখড় বলেন, তিওয়ারি যখন এই মন্তব্য করেন, তখন তিনি ছিলেন চেয়ারে। তবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে থাকা জগদীপ ধনখড় বলেন, তিনি বিজেপি সাংসদ ঘনশ্যাম তিওয়ারির মন্তব্য খতিয়ে দেখবেন।
এর আগে, মঙ্গলবার লোকসভায় ব্যাপক তোলপাড় হয় বিজেপির সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্য নিয়ে। সেখানে অনুরাগ ঠাকুর জাত ইস্যুতে একটি মন্তব্য করেন। যার প্রেক্ষিতে বলতে উঠে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘অনুরাগ ঠাকুর আমাকে গালি দিয়েছেন, আমাকে অপমান করেছেন।’ রাহুল সাফ বলেন, যে কেউই দেশে দলিত, ওবিসিদের জন্য লড়াই করবেন, তাঁকে গালি খেতে হবে। তিনি বলেন, আমি লড়াই করছি, আমি গালি খেতে রাজি। তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়ে জানান, তিনি কোনও রকমের ক্ষমার দাবি করছেন না অনুরাগ ঠাকুরের কাছ থেকে।