২০২৪–এর লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার বিহারের পাটনায় বিরোধীদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন বৈঠকে বিজেপির বিরোধী জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী জোটকে আরও মজবুত করতে মধ্যাহ্নভোজনে বিহার থেকে শুরু করে বাংলার বিভিন্ন জনপ্রিয় খাবার পরিবেশন করা হয়। লিট্টি চোখা, থেকে শুরু করে গুলাব জামুন, মালদার আম, বিভিন্ন ধরনের শরবত এবং অন্যান্য জনপ্রিয় খাবারের আয়োজন করা হয়। এর জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
মধ্যাহ্নভোজনের পর সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নীতিশের পরিবেশিত খাবার খেয়ে রাহুল গান্ধী এতটাই তৃপ্তি পেয়ে ছিলেন যে সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই রাহুল গান্ধী মাইক হাতে নিয়ে খাবারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। এরজন্য তিনি নীতিশ কুমারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘নীতিশ জী মধ্যাহ্নভোজনে বিহারের জনপ্রিয় খাবার খাইয়েছেন। তার জন্য ওনাকে ধন্যবাদ।’ এরপরেই সরাসরি বিরোধী প্রসঙ্গে চলে যান রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘আমাদের লড়াই হল আদর্শের লড়াই, আমরা সবাই একজোট হয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একসঙ্গে কাজ করব।’ এই জোট নিয়ে দ্রুত আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন।
এদিনের বৈঠক শেষে রাহুল গান্ধীকে বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারকে তিনি আক্রমণ করে বলেন, ‘দেশের ভিত আক্রমণ করা হয়েছে। দেশে বিদ্বেষ বাড়ছে। ঘৃণার অবসান ঘটিয়ে ভালোবাসার বার্তা দিতে হবে।’ তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে ‘স্বৈরাচারী শাসন’ বলে কটাক্ষ করেন।
উল্লেখ্য, এই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন ১৭টি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা। সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে ছিলেন শরদ পাওয়ার, লালু প্রসাদ যাদব, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন, বাম দলগুলির প্রধানরা। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ১৫ জুলাই সিমলায় আরেকটি বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর মুখ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সব বিরোধী দল এনিয়ে একমত হয়েছে এবং এটি যৌথভাবে ঘোষণাও করা হয়েছে।
এদিকে, পাটনায় বিরোধীদের বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘পাটনায় ফটোসেশন চলছে, কোনও বিরোধী জোট হবে না। বিরোধী জোট হলেও তাতে লাভ হবে না। বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবেন।’