পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছিল। এরপর থেকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভারত কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সেদিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। আর মাঝরাতে জঙ্গিদের জবাব দিল ভারত।
এই প্রত্যাঘাতের পরে কী বললেন বিরোধী দলের নেতারা?
‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত। জয় হিন্দ!’, লোকসভার বিরোধী দলনেতা (এলওপি) রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন।
‘পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে আসা সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অটল জাতীয় নীতি রয়েছে। আমরা আমাদের ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য অত্যন্ত গর্বিত যারা পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি শিবিরে আঘাত হেনেছে। আমরা তাদের দৃঢ় সংকল্প এবং সাহসের প্রশংসা করি,’ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এক্স (আনুষ্ঠানিকভাবে টুইটার) এ পোস্ট করেছেন। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
খাড়গে জানিয়েছেন, পহেলগাঁও হামলার দিন থেকেই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস স্পষ্টভাবে সীমান্ত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে কোনও সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনী এবং সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে।
জাতীয় ঐক্য ও সংহতি এখন সময়ের প্রয়োজন এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পাশে রয়েছে। আমাদের নেতারা অতীতেও পথ দেখিয়েছেন, জাতীয় স্বার্থই আমাদের কাছে সর্বোচ্চ।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতা একই সুর শোনা করেছেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেছেন।
তিনি ‘পরাক্রমো বিজয়েতে’ ঘোষণা করেছেন এবং তিনি বলেছিলেন যে দেশ কখনই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয় না।
অখিলেশ যাদব বলেন, ‘ভারত, ভারতীয় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের দেশে কোনও ধরণের সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদকে কখনই প্রশ্রয় দেয়নি, ভবিষ্যতেও করবে না।’
'ভারতীয় সেনাবাহিনী সর্বদা মা, বোন এবং তাদের কপালের সিঁদুর রক্ষা করেছে।'
'আমরা সত্য, অহিংসা ও শান্তিতে বিশ্বাসী মানুষ। আমরা ভারতীয়রা কখনও অন্যায় করি না, কিন্তু কেউ যদি আমাদের প্রতি অন্যায় করে তবে আমরা তা সহ্য করি না। যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয় তারা যদি আমাদের একতা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হানে, তাহলে আমরা জানি কীভাবে একজোট হয়ে তার যোগ্য জবাব দিতে হয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে ১৪০ কোটি ভারতীয় ভারতীয় সেনা ও সরকারের সঙ্গে রয়েছে।' লিখেছেন তিনি।