
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
প্রয়াত হলেন কেশবানন্দ ভারতী। সুপ্রিম কোর্টে যাঁর মামলার উপর ভিত্তি করে সংবিধানের ‘মূল কাঠামো’-র আইনি তত্ত্ব তৈরির হয়েছিল। রবিবার সকালে উত্তর কেরালার কাসারগড় জেলার এডনীরের আশ্রমে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৯।
১৯৬৯ সালের কেরালা ভূমি সংস্কার (সংশোধনী) আইন এবং তিনটি সাংবিধান সংশোধনের (২৪, ২৫ এবং ২৯) বিরুদ্ধে ১৯৭০ সালের ২১ মার্চ মামলা দায়ের করেছিলেন ভারতী। তিনি দাবি করেছিলেন, সেগুলি তাঁর ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকার (ধারা ২৫), সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা-সহ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের স্বাধীনতা (ধারা ২৬) এবং সম্পত্তির অধিকারকে (৩১ ধারা) লঙ্ঘন করছে।
ওই আইনের আওতায় ভারতীর মঠের সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই মঠই ছিল আশ্রমের একমাত্র আয়ের উৎস। সেজন্যই কেরালা ভূমি সংস্কার (সংশোধনী) আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিলেন। তাঁর হয়ে সুপ্রিম কোর্টের ১৩ সদস্যের বেঞ্চের কাছে সওয়াল করেছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী নানি পালখিভালা।
সেই একবারই কোনও মামলার ক্ষেত্রে ১৩ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। যা সেই সময় সর্বোচ্চ ছিল। ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত ৬৯ দিন ধরে মামলার শুনানি চলেছিল।
সংবিধানের ২৪ তম সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ তা সংবিধান ও সংসদের ক্ষমতা সংক্রান্ত ছিল। ২৪ তম সংশোধনী অনুযায়ী, সংবিধানের যে কোনও অংশ সংশোধন করার ক্ষমতা ছিল সংসদের। গোলকনাথ বনাম পঞ্জাব মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে এড়িয়ে যেতে ১৯৭১ সালে সেই সংশোধনী আনা হয়েছিল। ওই মামলার রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, সংসদ এমনভাবে সংবিধানের সংশোধন করতে পারবে না, যা সংবিধানের মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নেবে বা মৌলিক অধিকারের পরিসর সংক্ষিপ্ত করবে। সংবিধানের ১৩ ও ৩৬৮ নম্বর ধারার উপর ভিত্তি করে সেই রায় দেওয়া হয়েছিল।
১৩ নম্বর ধারায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে, সংবিধানের তৃতীয় ভাগের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করবে এমন কোনও আইন তৈরি করতে পারবে না সংসদ। ৩৬৮ নম্বর ধারায় আবার সংসদকে সংবিধানের সংশোধনের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূল বিষয়টি ছিল যে ১৩ নম্বর ধারায় যে ‘আইন’ আছে, তা ৩৬৮ ধারায় অন্তর্ভুক্ত হবে কিনা। গোলকনাথ মামলার রায়ে বলা হয়েছিল যে সংবিধানের তৃতীয় ভাগের মৌলিক অধিকার সংশোধনের ক্ষমতা নেই সংসদের। কিন্তু সংবিধানের ২৪ তম সংশোধনী অনুযায়ী, ১৩ নম্বর ধারায় যে বাধা আছে তা ৩৬৮ ধারার আওতায় কোনও সংশোধনীর ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য হবে না। ফলস্বরূপ, মৌলিক অধিকার-সহ সংবিধানের যে কোনও অংশ সংশোধন করার ক্ষমতা পায় সংসদ।
কেশবানন্দ ভারতী মামলার ৭:৬ রায়ে সেই ক্ষমতা বজায় রাখে সুপ্রিম কোর্ট। তবে তাতে জানানো হয়েছিল, সেই সংশোধনী যেন সংবিধানের ‘মূল কাঠামো’-কে পরিবর্তন করতে পারবে না। ‘মূল কাঠামো’-র মধ্যে কোন কোন বিষয় পড়বে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তালিকা অবশ্য দেয়নি শীর্ষ আদালত।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports