বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ‘মালায়লম ভাষায় রাজ্যের নাম হওয়া উচিত কেরলম’, বিজয়নের প্রস্তাবে সমর্থন বিরোধীদেরও
পরবর্তী খবর
এবার রাজ্যের নাম বদলাতে চলেছে কেরল। বামফ্রন্ট শাসিত রাজ্য কেরলের নাম বদলে এবার নতুন নাম হতে চলেছে কেরলম। সোমবার কেরল বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে। সুতরাং এখন আর কেরল নয়, ‘কেরলম’। দক্ষিণের এই রাজ্যের নাম বদলের দাবিতে আবার প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল বিধানসভায়। এই প্রস্তাব সমর্থন করল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটও। এই নাম বদলের প্রস্তাব অবশ্য নতুন নয়। প্রায় এক বছর আগে থেকেই বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলছে। রাজ্যের নাম বদলের এই প্রস্তাব আগেই সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়ে গিয়েছিল কেরল বিধানসভায়। এরপর সংবিধান বদল করে কেন্দ্রীয় সরকারকে কেরলের নাম বদলের আর্জি জানানো হয়। সোমবার আবার সেই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়।
এদিকে এখন ভারতবর্ষে একমাত্র বামশাসিত রাজ্যের নাম কেরল। ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে প্রথম রাজ্যের নাম বদলের দাবিতে প্রস্তাব পাশ হয়েছিল কেরল বিধানসভায়। কিন্তু সেই প্রস্তাবে পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল বলে অভিযোগ। তাই আবার বিধানসভায় একই প্রস্তাব পেশ করতে হল বামফ্রন্ট সরকারকে। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের নাম ‘কেরলম’ রাখার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাজ্যের নাম বদলের জন্য সরকারি ভাবে প্রয়োজনীয় ব্য়বস্থা নিতে হবে। সংবিধানের প্রথম তফশিলে কেরলের নাম বদল করে ‘কেরলম’ করার দাবি জানাচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্য়ের নাম বদলের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন বিধানসভার সদস্যরাও।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস–তৃণমূল জোটবদ্ধ হয়ে হারাল বামেদের, মালদায় জোটবদল হতেই সমবায়ে হাতে ঘাসফুল
অন্যদিকে এই নাম বদলের প্রস্তাবে সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ অত্যন্ত খুশি। তবে অখুশিও হয়েছেন অনেকে। এই নিয়ে একটা বিতর্ক রয়েছে। তবে বিধানসভায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, ‘১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর ভাষার ভিত্তিতে এই রাজ্য গঠন করা হয়েছিল। আর কেরলের জন্মদিন ১ নভেম্বর। কিন্তু যখন স্বাধীনতা আন্দোলন চলছিল, তখন থেকেই মালায়ম ভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য ঐক্যবদ্ধ কেরল গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কিন্তু সংবিধানের প্রথম তফশিলে আমাদের রাজ্য়ের নাম কেরল লেখা হয়। আর ‘কেরলম’ ঐতিহ্যবাহী নাম। মালায়ালাম সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।’