উর্দু জানতেন না বলে যুবককে খুন করা হয়েছে। কর্ণাটকের হোম মিনিস্টার আরোগ্য জ্ঞানেন্দ্রর এই মন্তব্যকে ঘিরে চরম বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তবে পরবর্তী সময় তিনি তাঁর মন্তব্য থেকে সরে এসে জানিয়ে দেন, রাস্তার কোনও ঝামেলাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত ২২ বছরের এক তরুণের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নানা চর্চা হচ্ছে কর্ণাটকে। তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সেই রাজ্যের হোম মিনিস্টার। জ্ঞানেন্দ্র জানিয়েছেন, চন্দ্রুর খুন নিয়ে আমি খবর নিয়েছিলাম। তাকে উর্দুতে কথা বলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে বলেছিল আমি কন্নড় ছাড়া কিছু জানি না। এরপরই তাকে ছুরি দিয়ে খুন করা হয়।
এদিকে মন্ত্রীর দাবি ওই তরুণ দলিত সম্প্রদায়ের। পুলিশ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমন পন্থ অবশ্য জানিয়েছেন, রাস্তায় একটি ঝামেলার জেরে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গত ৪ঠা এপ্রিল রাত আড়াইটে নাগাদ সিমোন রাজ ও চন্দ্রু দুই বন্ধু একটা ধাবাতে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন। দোকান বন্ধ থাকায় তারা বাইকে করে ফিরছিলেন। এদিকে সেই সময় একটি বাইকের সঙ্গে তাদের বাইকের ধাক্কা লাগে। শাহিদ নামে এক যুবক সেই বাইকটি চালাচ্ছিল। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বেধে যায়। সেই সময় শাহিদ ও আরও দুজন চন্দ্রুকে ছুরি দিয়ে কোপায়।তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে পরে অবশ্য ভুল স্বীকার করে নিয়ে হোমমিনিস্টার জানান, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে বলেছিলাম। কিন্তু ভাষাগত ঝামেলা নিয়ে এটা কিছু হয়নি। বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের সিদ্ধারামাইয়া জানিয়েছেন, তাঁর ওই পদে বসার অধিকার নেই।