পরবর্তী নির্দেশের আগে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে উচ্ছেদ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি গতকাল নির্দেশের পরও উচ্ছেদ অভিযান চলার বিষয়টিকে মোটেই ভালো চোখে দেখছে না শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের তরফে এদিন বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত মেয়রকে জানানোর পর যে সমস্ত ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছিল আমরা তা গুরুত্ব সহকারে দেখব।’
উল্লেখ্য, গতকাল সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পরও বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে উচ্ছেদ অভিযান জারি থাকে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে। সুপ্রিম কোর্ট এই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিলেও দুপুর একটা পর্যন্ত উত্তর দিল্লি পুরনিগমের বুলডোজার দোকান-পাট, বাড়ি ভাঙতে থাকে। সুপ্রিম নির্দেশিকার পরও উচ্ছেদ অভিযান চলায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ জানায়, উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়েছে। এই ক্ষেত্রে উত্তর দিল্লি পুরনিগমের সাফাই, তাদের কাছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এসে পৌঁছায়নি বলে অভিযান জারি ছিল। পাশাপাশি সরকারি জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে কোনও নোটিশ দিতে হয় না বলেও যুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : ‘প্রীতিলতা জোয়ারদার!’ এ কী বললেন মমতা? মুখ্যমন্ত্রীর ‘ভুল’ ধরিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত, এর আগে বিজেপি পরিচালিত উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছিল যে বুধবার একটি যৌথ উচ্ছেদ অভিযান চালাবেন তারা। বেআইনি নির্মাণকারীদের হঠাতে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই এই জাহাঙ্গিরপুরীতেই হনুমান জয়ন্তীতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। এই আবহে এই উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে উত্তেজনা ছিল এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই আগে থেকে অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল সেখানে। রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা ঠেলা থেকে বস্তি, একের পর এক সব ভাঙা হয়। এই আবহে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীনই তা বন্ধের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তবে নির্দেশিকা জারির অনেকক্ষণ পরে গিয়ে উদ্ধার অভিযান বন্ধ হয়।