আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময়সীমা এগিয়ে আসছে। আগামী সোমবার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত আইটি রিটার্ন (ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন) ফাইল করা যাবে। আর সকলেই চেষ্টা করেন, যাতে আইনের আওতায় থেকে সবথেকে কম টাকার কর দেওয়া যায়। সেজন্য বিভিন্ন ডিডাকশনের সুযোগ খোঁজেন করদাতারা। ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের আওতায় কর সংক্রান্ত সেরকম বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। আয়কর আইনের ৮০সি ধারার আওতায় যে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুযোগ পাওয়া যায়, তা মোটামুটি সকলেই যাবেন। তবে আয়কর আইনের আওতায় আরও এমন কয়েকটি সুযোগ আছে, যে ধারার আওতায় ডিডাকশন ক্লেম করা গেলেও সেগুলির বিষয়ে অনেকেই জানেন না। যে ডিডাকশন ক্লেম করলে আপনার করযোগ্য আয় কমে যাবে। আয়কর কম দিতে হবে। এমনকী এক টাকাও আয়কর বাবদ খরচ না হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে।
আরও পড়ুন: Income Tax Return Mistakes: আয়কর রিটার্নের সময় কোন ১০টি ছোট্ট ভুলে বড় ক্ষতি হতে পারে? পরামর্শ বিশেষজ্ঞের
১) ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে (এনপিএস) বিনিয়োগ: ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করে ১.৫ লাখ টাকার যে সর্বোচ্চসীমা আছে, সেটার বেশি ডিডাকশন ক্লেম করতে পারবেন। আয়কর আইনের ৮০সিসিডি (১বি) ধারার আওতায় সেই সুবিধা মিলবে। তবে এনপিএসে সর্বাধিক ৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: AIS App for ITR Filing: আয়কর রিটার্ন ফাইল করার আগে কি AIS অ্যাপ দেখেছেন? এতে যা লাভ হয়...
২) সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে উপার্জিত সুদ: আয়কর আইনের ৮০টিটিএ ধারার আওতায় কেউ যদি কোনও অর্থবর্ষে কোনও সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে সুদ বাবদ ১০,০০০ টাকা পান, তাহলে তাঁকে কোনও কর দিতে হবে না।
৩) এডুকেশন লোনের (শিক্ষা সংক্রান্ত ঋণ) সুদের ক্ষেত্রে ছাড়: আয়কর আইনের ৮০ই ধারার আওতায় এডুকেশন লোনের (শিক্ষা সংক্রান্ত ঋণ) সুদ বাবদ অর্থ প্রদান করা হয়, সেটার ক্ষেত্রে ডিডাকশন ক্লেম করতে পারবেন। নিজের জীবনসঙ্গী, সন্তান বা পড়ুয়ার (যে পড়ুয়ার আইনি অভিভাবক আপনি) উচ্চশিক্ষার জন্য সেই ঋণ পাওয়া যাবে। যে বছর থেকে আপনি ঋণের টাকা প্রদান শুরু করবেন, তখন থেকে আট বছর পর্যন্ত সেই ডিডাকশন ক্লেম করতে পারবেন।