হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল ইজরায়েল। সাংবাদিক বৈঠক করে এই নিয়ে জানালেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও জানান, ইজরায়েল ও হিজবুল্লা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। বাইডেন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা পোস্ট করে বলেন, 'আজ মধ্যপ্রাচ্য থেকে একটি ভালো খবর দিতে চাই আমি। লেবানন ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। এবং আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে তারা ইজরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে বিধ্বংসী সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে দুই পক্ষ।' (আরও পড়ুন: 'বৈষম্য মেনে নেওয়া উচিত না…', চিন্ময় প্রভু ইস্যুত ইউনুসকে কড়া বার্তা ইসকনের)
আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারি নিয়ে ভারতের 'ধমকের' জবাব বাংলাদেশের, দিল্লিকে ঢাকা বলল…
উল্লেখ্য, আমেরিকা এবং ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে ইজরায়েল। আমেরিকা এবং ফ্রান্সের থেকে আসা প্রস্তাব নিয়ে ২৬ নভেম্বর গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা হয় ইজরায়েলি ক্যাবিনেটে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই প্রস্তাব পেশ করেন ক্যাবিনেটের অন্য সদস্যদের সামনে। সেখানে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এবং পরে তা সাংবাদিকদের সামনে ঘোষণা করেন নেতানিয়াহু। এদিকে ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার, ২৭ নভেম্বর স্থানীয় সময় ভোর ৪টে থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এরই মাঝে অবশ্য নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, যদি যুদ্ধবিরতি কোনওভাবে লঙ্ঘিত হয়, তবে ইজরায়েল সর্বশক্তি দিয়ে তার জবাব দেবে। (আরও পড়ুন: বেনজির আক্রমণ শানিয়েছিলেন সঞ্জয় রাউত, প্রাক্তন CJI চন্দ্রচূড়ের জবাব - 'সরি...')
প্রসঙ্গত, গতবছর অক্টোবরে গাজার জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। জবাবে গাজায় আক্রমণ করে ইজরায়েল। আর তখন থেকেই ইরানের প্রক্সি হিসেবে লেবানন থেকে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাও। হিজবুল্লার হামলায় ইজরায়েলে কমপক্ষে ৮২ সেনা ও ৪৭ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে ইরানও হিজবুল্লার ওপর হামলা চালিয়ে গিয়েছে। হিজবুল্লার প্রধান নাসারুল্লাহ, তার উত্তরসূরী সহ প্রায় ৩৭০০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে লেবাননে। এর মাঝে হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া নিয়ে নেতানিয়াহু তিনটি কারণ সামনে আনেন। সেগুলি হল - ইরানের থেকে আসতে চলা সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকা। যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত ইরজায়েলি সেনাকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং তাদের অস্ত্র মজুত করা। এবং বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে হামাসের সহযোগীদের বিচ্ছিন্ন করা। এই নিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, 'আমরা হামাসকে শেষ করব। বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনব। এটা নিশ্চিত করব যে গাজা যেন আর ইজরায়েলের জন্যে হুমকির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। সেই লক্ষ্যে না পৌঁছতে পারা পর্যন্ত যুদ্ধ থামবে না।'