একদিকে ইউক্রেনে রুশ হামলা ও যুদ্ধ, অন্যদিকে, সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সংঘাত যার মধ্যে নাম জড়াচ্ছে আমেরিকার। এই কঠিন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ঘিরে ক্রমেই তেতে উঠছে পরিস্থিতি। তারই মাঝে আমেরিকার হাতে এসেছে এক গোপন গোয়েন্দা রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, 'খুব শিগগিরি বা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সৌদি আরবকে আক্রমণ করতে পারে ইরান।'
একদিকে, ইরানে চলছে উত্তাল প্রতিবাদ। হিজাব বিরোধী প্রতিবাদে ইরানের একছত্র রাষ্ট্রনেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বিরুদ্ধে দিকে দিকে প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে। সেখানে হিজাব আন্দোলনে প্রশাসনিক হেফাজতে মাহাসা আমিনির মৃত্যু ঘিরে ইরানের নীতি পুলিশের বিরোধিতায় জনগন। যে প্রতিবাদে বিপর্যস্ত ইরানের গণতন্ত্র। শতাধিক মানুষের মৃত্যু, ১৪ হাজার মানুষের গ্রেফতারি ইরানকে কার্যত অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষাতে দুর্বল করেছে। তারই মধ্যে উঠে আসছে ইরানের তরফে এই হামলার প্রস্তুতির আগাম খবর। এদিকে, মার্কিন প্রশাসনের কাছে রয়েছে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে যে, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার সেনাকে সাহায্য করেছে ইরান। ইউক্রেনে আঘাত হানতে যুদ্ধের ময়দানে ইরানের ট্রুপ বেশ উপস্থিত ছিল বলেও খবর। এদিকে, এই যুদ্ধের অঙ্কে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে আমেরিকা। সেই আমেরিকাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ইরানের নেতা খামেনি দাবি করেছেন, হিজাব বিরোধী আন্দোলনে মদত রয়েছে আমেরিকার। ফলে একদিকে ইরান, রাশিয়া অন্যদিকে আমেরিকা রয়েছে, এমন ছবি দেখিয়েই গোয়েন্দা রিপোর্ট উঠে আসছে। আর সেই জায়গা থেকে ইরানের হামলার প্রস্তুতি ঘিরে অ্যালার্টে রয়েছে আমেরিকা।
কাশির সিরাপ খেয়েই কি ৭০ শিশুর মৃত্যু! নিশ্চিত করছে না গাম্বিয়া, মুখ খুলল প্রশাসন
এদিকে, ইরানের তরফে আসতে পারা, সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতির খবর গোপনে সৌদিকে জানিয়েছে আমেরিকা। আমেরিকা জানিয়েছে, 'তাদের দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে কোনও পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না' তারা। এদিকে, ইরানের হামলার প্রস্তুতির বিষয়ে সৌদি আরবের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য উঠে আসেনি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সৌদির পূর্ব প্রান্তে ইরানের হামলা ফলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম চড়চড় করে বেড়ে গিয়েছিল। সেই ক্ষতের দগদগে স্মৃতি রয়েছে সৌদির কাছে। যদিও ইরান সেই হমলার নেপথ্য নেই বলে জানিয়েছিল, তবে হামলার কৌশলে ইরানের ছাপ ছিল বলে মত অনেকের। গত কয়েক বছরে ইরান ও সৌদির সম্পর্কে আরও অবনতি এসেছে। সেই জায়গা থেকে সাম্প্রতিক তথ্য ঘিরে স্বভাবতই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক বিশ্বে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আঙিনায় এই গোয়েন্দা রিপোর্ট একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।