ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অতি রক্ষণশীল প্রার্থী সাঈদ জালিলিকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। ইরানের নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মোহসেন এসলামি জানান, প্রায় তিন কোটি ভোটের মধ্যে পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন এবং জালিলি ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় অতি রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর প্রথম দফায় গত সপ্তাহে ঐতিহাসিকভাবে কম ভোট পড়েছিল। এরপরই এই নির্বাচনী রানঅফের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি রানঅফে আরও বেশি ভোটদানের আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশবাসীর উদ্দেশে। (আরও পড়ুন: নয়া ইতিহাস ব্রিটিশ সংসদে, এবার হাউজ অফ কমনে যাচ্ছেন কতজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত?)
আরও পড়ুন: হাথরসে ভক্তদের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন 'ভোলে বাবা', বললেন...
আরও পড়ুন: মস্তিষ্কে অপারেশনের পরে এখন কেমন আছেন মুকুল রায়, রইল সর্বশেষ আপডেট
ইরানের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত সপ্তাহের প্রথম দফায় মাসুদ পেজেশকিয়ান সর্বাধিক সংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন। তাঁর ঝুলিতে প্রথম দফায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এদিকে জালিলি প্রায় ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। উল্লেখ্য, ইরানের ৬ কোটি ১০ লাখ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ প্রথম দফায় ভোট দিয়েছিলেন। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনের মধ্যে তা সর্বনিম্ন ছিল। (আরও পড়ুন: শপথ হলেও বজায় জট, বিতর্কে নয়া মোড়, শেষে বিমানের হয়েই খেলে দিলেন রাজ্যপাল?)
আরও পড়ুন: বাংলায় ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট 'লুকিয়ে' চরম বিপাকে সরকার, ভর্ৎসনা আদালতের
এদিকে এই নির্বাচনী রানঅফে জিতে ইরানের সংস্কারবাদীদের আশা জাগিয়ে তুলেছেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। এর আগে বিগত কয়েক দশক ধরে ইরানের রাজনীতিতে আধিপত্য দেখা গিয়েছে রক্ষণশীল এবং অতি রক্ষণশীল শিবিরগুলির। এদিকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ খাতামি এবং মধ্যপন্থী হাসান রুহানি এই নির্বাচনে সমর্থন জানিয়েছিলেন মাসুদকে। এদিকে ভোট প্রচারের সময়ই মাসুদ পেজেশকিয়ান পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে 'গঠনমূলক সম্পর্কের' আহ্বান জানিয়েছিলেন। ৬৯ বছর বয়সি মাসুদ পেশায় একজন হার্ট সার্জন। এদিকে মাসুদ নির্বাচনী প্রচারের সময় ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কথা বলেন। এদিকে হিজাব বাধ্যতামূলক করার জন্যে পুলিশ প্যাট্রোলিং বন্ধেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে এই হিজাব ইস্যুতেই মাহসা আমিনি নামক এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছিল ইরানি পুলিশ কাস্টোডিতে। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ইরান। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। এই আবহে ইরানের নির্বাচনে সংস্কারপন্থীর জয় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।