ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে ৭০ টি বিমানকে বসিয়ে দিতে বাধ্য হয় ইন্ডিগো। আরও ৩০ টি ইন্ডিগোর বিমানে পাউডার মেটালের সমস্যা দেখা যায়। এরপর যা ঘটল।
ইন্ডিগো বিমান সংস্থার বিমানের ইঞ্জিনের সমস্যা ঘিরে ক্ষতিপূরণ আসছে মার্কিন সংস্থা প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি। ( প্রতীকী ছবি।)
ইন্ডিগো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্টারগ্লোব অ্যাভিয়েশন জানিয়েছে, তারা মার্কিন এয়রো ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক সংস্থা প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনির থেকে পেতে চলেছে ক্ষতিপূরণের টাকা। কেন এই ক্ষতিপূরণ? জানা গিয়েছে, গত বেশ কিছুটা সময় ধরে ইন্ডিগোর ইঞ্জিনের সমস্যার জেরে সংস্থার ৭০ টি বিমানকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে সংস্থা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে। তারপরই এল এই ক্ষতিপূরণের খবর। তবে কত টাকার ক্ষতিপূরণ আসছে, তা জানায়নি ‘ইন্ট্রা গ্লোব অ্যাভিয়েশন’ যে সংস্থার আওতায় রয়েছে ইন্ডিগো।
আন্তর্জাতিক স্তরে এয়রো ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক সংস্থা প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনির বেশ নাম রয়েছে। এই মার্কিন সংস্থা, প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনির ‘ইন্টারন্যাশনাল এয়রো ইঞ্জিনস’ এর ইঞ্জিন ব্যবহার করে ইন্ডিগো। সেই ইঞ্জিনেই সমস্যার কারণে ৭০ টি বিমানকে বসিয়ে দিতে বাধ্য হয় ইন্ডিগো। শেষমেশ এই ঘটনায় প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনির থেকে এই ঘটনার সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে ইন্ডিগো। শুধু যে ৭০ টি বিমানের ইঞ্জিনের সমস্যা তা নয়। আরও ৩০ টি ইন্ডিগোর বিমানে পাউডার মেটালের সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও সংস্থার বাকি বিমানগুলিতে নানান রকমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর আগে জুলাই মাসেই দুটি ইঞ্জিন সম্পন্ন এয়ারবাস এ ৩২০ নিওতে বিরল পাউডার মেটালের ত্রুটির কারণে ইঞ্জিনের কিছু উপাদান ক্র্যাক হতে পারে জানিয়েছিল প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি। মনে করা হচ্ছে, যা পরিস্থিতি তাতে, ২০২৩- ২০২৬ এর মধ্যে মোট ৬০০ থেকে ৭০০ এয়ারবাস এই সমস্যার জন্য গ্রাউন্ড হতে পারে।
এদিকে, বিমানের ভাড়া নিয়ে বেশ কিছুটা উদ্বেগে রয়েছেন খোদ অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী। টিডিপির রামমোহন নাইডু সদ্য দেশের অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের দায়িত্বে এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এবার দেশের বিমানের ভাড়া কমানোর উদ্দেশে তিনি পদক্ষেপ করবেন। তিনি জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি বুঝে নিতে তিনি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলবেন। সঙ্গে রিভিউ মিটিংও ডাকবেন।