অনেকেই এটি নোটবন্দি পার্ট টু বলে অভিহিত করছেন। কিন্তু আদতে তা নয়। ডিমোনেটাইজেশন-এর ক্ষেত্রে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার দিন থেকেই কারেন্সি নোট অবৈধ হয়ে যায়। এদিকে নোট প্রত্যাহার করা হলে, সেক্ষেত্রে বাজারে কারেন্সি নোটের নতুন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।
ফাইল ছবি: এএফপি
বাজার থেকে ২,০০০ টাকার নোট তুলে নিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া(RBI)। ১৯ মে এই ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। জনসাধারণকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নোট বদলে নিতে বা অ্যাকাউন্টে জমা করে দিতে বলেছে RBI।
২০১৬ সালের নভেম্বরে ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিল করার পর নোটের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে এই ২,০০০ টাকার নোট চালু করা হয়। তবে ধীরে ধীরে পর্যাপ্ত নোট বাজারে এসে যায়। নতুন ৫০০, ২০০-র নোট বেরিয়ে যায়। এরপরেই ধীরে ধীরে ২,০০০ টাকার নোট বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২,০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবশেষে সেই নোট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল RBI।
অনেকেই এটি নোটবন্দি পার্ট টু বলে অভিহিত করছেন। কিন্তু আদতে তা নয়।
ডিমোনেটাইজেশন-এর ক্ষেত্রে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার দিন থেকেই কারেন্সি নোট অবৈধ হয়ে যায়। এদিকে নোট প্রত্যাহার করা হলে, সেক্ষেত্রে বাজারে কারেন্সি নোটের নতুন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। তবে যে নোটগুলি থাকবে, তা আইনি দরপত্র হিসাবে বৈধ থাকবে।
১৯৪৬ সাল: ৫০০, ১,০০০ এবং ১০,০০০ টাকার নোট বাতিল
১৯৪৬ সালে, ব্রিটিশ সরকার, আরবিআই গভর্নর চিন্তামন দ্বারকানাথ দেশমুখের সঙ্গে পরামর্শ করে, ভারতে বেশি দামের নোট (৫০০ এবং তার বেশি) বন্ধ করে দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং কালোবাজারি কার্যকলাপ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ১২ জানুয়ারি, ১৯৪৬-এ, দু'টি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে ৫০০, ১,০০০ এবং ১০,০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল।
তবে, ১৯৫৪ সালে, তিনটি নোটই পুনরায় চালু করা হয়েছিল।
১৯৭৮ সাল: ১,০০০, ৫,০০০ এবং ১০,০০০ টাকার নোট বাতিল
এর বহু বছর পরে, প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের নেতৃত্বে জনতা পার্টি সরকার, ১৬ জানুয়ারি ১৯৭৮-এ বেশি মূল্যের ব্যাঙ্ক নোট বন্ধ করে দেয়। ১,০০০, ৫,০০০ এবং ১০,০০০ টাকার নোট বাতিল করে দেওয়া হয়।
২০১৪ সাল: ২০০৫ সালের আগের নোট প্রত্যাহার করা হয়েছিল
২২ জানুয়ারি ২০১৪-তে RBI ঘোষণা করে, ৩১ মার্চ ২০১৪-র পর থেকে, ২০০৫ সালের আগে জারি করা সমস্ত ব্যাঙ্কনোট প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু এর পিছনে কারণ কী ছিল?
খুব সহজ কারণ। ২০০৫ সালের আগে মুদ্রিত নোটের তুলনায় ২০০৫ সালের আগের নোটগুলিতে সিকিউরিটি ফিচার অনেক কম ছিল।