বুধবার একসঙ্গে ২টি রণতরী এবং ১টি সাবমেরিন জলে নামাল ভারত। মুম্বই থেকে আইএনএস সুরাট, আইএনএস নীলগিরি, আইএনএস বাঘশীরকে দেশের প্রতি উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তিনি জানান, গত ১০ বছরে ভারতের নৌবাহিনীতে ৩৩টি জাহাজ এবং ৭টি সাবমেরিন নিযুক্ত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে ভারত মহাসাগর এবং আরব সাগরে ভারতীয় নৌসেনার গতিবিধি অনেকটা বেড়েছে। সমুদ্রে মাদক পাচার রোখা থেকে শুরু করে জলদস্যুদের দমন করায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ভারতের নবনিযুক্ত রণতরী এবং সাবমেরিনগুলি। এরই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই জাহাজগুলি। (আরও পড়ুন: ভারত নিয়ে এই কথায় সহমত বিদায়ী NSA এবং ট্রাম্প মনোনীত ওয়াল্টজ...)
আরও পড়ুন: ৫ বছরে ছোট শহরগুলিতে অনলাইন গেমিংয়ে টাকা ঢালার হার ১৬ গুণ বেড়েছে: রিপোর্ট
উল্লেখ্য, গতকাল জলে নামা আইএনএস সুরাট হল গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার। আইএনএস নীলগিরি হল স্টেলথ ফ্রিগেট। এবং আইএনএস বাঘশীর হল অ্যাটাক সাবমেরিন। এটি কালভারি-ক্লাস প্রজেক্ট ৭৫-এর অধীনে ষষ্ঠ স্করপেন-ক্লাস ডুবোজাহাজ। এই তিন জাহাজেই অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সেন্সর রয়েছে। এগুলি সম্পূর্ণরূপে মুম্বইয়ের মাজাগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডে ডিজাইন করা। এই জাহাজগুলি তৈরিও হয়েছে সেখানে। এই জাহাজগুলি তৈরি করতে মাত্র ৩১ মাস সময় লেগেছে। এর আগে এই ধরনের জাহাজ তৈরি করতে ৫০ মাসের মতো সময় লাগত ভারতের। (আরও পড়ুন: ১০ বছর পলাতক, FBI ১০ মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় এই ভারতীয়, মাথার দামে মুখ হবে হাঁ)
আরও পড়ুন: ইলন মাস্কের SpaceX-এর রকেটে চেপে মহাকাশে ৩ ভারতীয় স্টার্টআপের স্যাটেলাইট
এদিকে আইএনএস নীলগিরি প্রোজেক্ট ১৭এ-র ফ্ল্যাগশিপ রণতরী হবে। এই প্রোজেক্টে মোট ৭টি রণতরী থাকার কথা। আগের শিবালিক ক্লাসের তুলনায় এগুলি অত্যাধুনিক। মুম্বইয়ের পাশাপাশি কলকাতাতেও এই প্রোজেক্ট ১৭এ-র জাহাজ তৈরি হচ্ছে। এদিকে আইএনএস নীলগিরি থেকে অনেক বড় এবং ভারী হল নবনিযুক্ত আইএনএস সুরাট। এটি বিশাখাপত্তনম ক্লাসের সর্বশেষ জাহাজ। এতে রুশ, ইজরায়েলি এবং ইউক্রেনের প্রযুক্তি আছে। এটি ভারতের প্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অন্তর্ভুক্ত রণতরী। এই রণতরীটি প্রোজেক্ট ১৫বি-র অন্তর্গত। কলকাতা ক্লাস রণতরীর তুলনায় এগুলি অনেক বেশি অত্যাধুনিক। (আরও পড়ুন: ১৫ মাসে মৃত্যু প্রায় ৫০ হাজারের, গাজায় কোন পথে কার্যকর হবে যুদ্ধবিরতি?)
আরও পড়ুন: সম্পন্ন দুই স্যাটেলাইটের ডকিং, হাল না ছেড়ে মহাকাশে বড় সাফল্য ইসরোর
প্রসঙ্গত, চিনের সাহায্যে নিজেদের নৌসেনাকে শক্তিশালী করতে চাইছে পাকিস্তান। তারা তাদের নৌবাহিনীতে মোট ৫০টি জাহাজ রাখতে চাইছে। এই আবহে ভারতে রণতরী এবং ডুবোজাহাজ তৈরির গতি বাড়াতে চাইছে মোদী সরকার। এদিকে গত ১০ বছরে যেখানে ভারত ৩৩টি রণতরী অন্তর্ভুক্ত করেছে নৌবাহিনীতে, সেই সময়কালে চিন তাদের বাহিনীতে জুড়েছে ১৪৮টি রণতরী।