অপারেশন সিঁদুরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বায়ুসেনার সেই মহিলা অফিসারের চাকরির মেয়াদ শেষের ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যে সকল মহিলা অফিসাররা 'শর্ট সার্ভিস কমিশন'-এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে বৃহস্পতিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলে, '১০ বছর চাকরি করার পর তাঁদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে অফিসারদের মধ্যে। এটা ভুল... সঠিক নীতিমালা এনে এটি সংশোধন করা উচিত।' (আরও পড়ুন: 'শুধু বাংলাদেশ কেন, সেভেন সিস্টারেরও বন্দর চট্টগ্রাম', হঠাৎ যেন সুর বদল ঢাকার!)
আরও পড়ুন: মাকে তালাক দিয়েছিল বাবা, পাক গুপ্তচর তোফায়েল শরিয়ত চালু করতে চাইত ভারতে
রিপোর্ট অনুযায়ী, মামলাটি করেছিল উইং কমান্ডার নিকিতা পাণ্ডে। সেই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তাঁর স্থায়ী কমিশনের বিষয়ে বিবেচনা না করা পর্যন্ত নিকিতাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, বায়ুসেনার আধিকারিক নিকেতা পাণ্ডে ২০১১ সালে শর্ট সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন। ১০ বছর চাকরি শেষে মেধার সাপেক্ষে ২০২৫ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। সাম্প্রতিক অপারেশন সিঁদুর এবং অপারেশন বালাকোটেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পাণ্ডে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একটি আবেদন করেছিলেন যে বোর্ড যেন তাঁকে স্থায়ী কমিশনের জন্য বিবেচনা করে, এবং সেই সময় পর্যন্ত যাতে তাঁকে চাকরি থেকে অব্যহতির ওপর স্থগিতদেশ জারি থাকে। (আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিন, রাখাইন করিডোর জল্পনার মাঝে বাংলাদেশে পা US বাহিনীর! কী বলছে ভারত?)
আরও পড়ুন: '…ভারতের নিশ্বাস বন্ধ করব', মার খেয়েও হাফিজ সইদের ভাষায় কথা পাক সেনা কর্তার
আরও পড়ুন: 'নোবেলজয়ী হিসেবে সারাজীবনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে',দেশ ছেড়ে পালানোর ছক ইউনুসের?
উল্লখ্য, নিকিতা পাণ্ডে ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম এসএসসি অফিসার যাঁকে রিলিজ দেওয়া হয়নি। এর আগে গত ৯ মে ৫০ জন মহিলা সেনা আধিকারিকের রিলিজের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল আদালত। বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই অফিসাররা দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কেন এখনও এসএসসির নির্বাচিত কর্মকর্তাদের স্থায়ী কমিশন দেওয়ার নীতি নিয়ে আসেনি। যদি তারা সমস্ত মানদণ্ড পূরণ করে, তাহলে স্থায়ী কমিশন তাঁদের প্রাপ্য। এদিকে বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ বলেছে, 'অনিশ্চয়তার অনুভূতি সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষে ভালো নাও হতে পারে। যেহেতু মহিলা এসএসসি কর্মকর্তাদের জন্য স্থায়ী কমিশনের কোনও নিশ্চিত সুযোগ নেই, তাই তাঁদের চাকরির মেয়াদ ১০ বছর পূর্ণ হতে হতে কর্মকর্তাদের মধ্যেই প্রতিযোগিতা দেখা দেয়।'