ইউরিয়া আমদানি করতে অন্য দেশের মুখ চেয়ে বসে থাকতে হবে না। নিজেদের প্রয়োজনীয় ইউরিয়া সার, নিজেরাই বানিয়ে নেবে আত্মনির্ভর ভারত। মঙ্গলবার এমনই ভবিষ্যতের কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় সার মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।অদূর ভবিষ্যতেই এটি বাস্তবায়িত হবে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই এ বিষয়ে স্বনির্ভর হয়ে যাবে ভারত। বিদেশ থেকে মোটা টাকায় সার কিনতে হবে না। বরং স্থানীয় উত্পাদিত উন্নত মানের ন্যানো ইউরিয়া প্রদান করবে সরকার।দেশীয়ভাবে উত্পাদিত এই ন্যানো ইউরিয়ার পেটেন্ট রয়েছে সার সমবায় IFFCO-র হাতে। প্রতি বছর প্রায় ২০ মিলিয়ন টন প্রচলিত ইউরিয়া প্রতিস্থাপিত করা হবে এই দেশীয় ইউরিয়া দিয়ে।ন্যানো ইউরিয়া ফসলের পুষ্টি প্রদানের একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপায়। এটি ফসলে নাইট্রোজেনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে। ন্যানো ভেরিয়েন্টের একটি ৫০০ মিলিলিটার বোতল প্রচলিত ইউরিয়ার একটি পুরো ব্যাগের সমতুল্য। ফলে এর কার্যকারিতা যে কতটা বেশি, তা বোঝাই যাচ্ছে।এর ফলে সরকার বার্ষিক ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করবে বলে মনে করা হচ্ছে।ভারত, ইউরিয়া এবং ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেটের বৃহত্তম ক্রেতা। সাম্প্রতিক অতীতে বিশ্বব্যাপী সারের দামে বৃদ্ধির কারণে ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ব্যয়বহুল কাঁচামাল, মালবাহী খরচের পাশাপাশি কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সমস্যার কারণে এই বছর সারের দাম আরও বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, সমস্ত নিয়ন্ত্রক অনুমোদনের পরে, ন্যানো ইউরিয়া উৎপাদন শুরু করবে ভারত। ন্যানো ইউরিয়ার দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য, দুটি কেন্দ্রীয় পাবলিক সেক্টরের উদ্যোগ চুক্তি সাক্ষর করেছে। তারা হল ন্যাশনাল ফার্টিলাইজারস লিমিটেড এবং ন্যাশানাল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্টিলাইজারস লিমিটেড। ন্যানো ইউরিয়ার প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য IFFCO-র সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। IFFCO দেশের বৃহত্তম সার সমবায়।