এবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে টিম পাঠাবে ভারত। পাকিস্তানের সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পর্কটা ঠিক কতটা নিবিড় সেটাই তুলে ধরতে চায় ভারত। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর। কার্যত গোটা বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের মুখোশ ছিড়ে ফেলতে চাইছে ভারত। পাকিস্তানের আসল রূপটা কতটা নোংরা সেটাই আরও একবার বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চায় ভারত। খবর এএনআই সূত্রে।
এদিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভারত অভিযোগ তুলেছে যে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, লস্কর ই তৈবার ছায়া সংগঠনকে কীভাবে আড়াল করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। এবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একথাই তুলে ধরতে চায় ভারত। এমনকী UNSCতে পাকিস্তানের তরফ থেকে বিবৃতিতে কার্যত ওই টিআরএফের নামটা আড়াল করা হয়েছিল। পহেলগাঁও হামলার ক্ষেত্রে নিন্দা করার সময়তেও তারা কৌশলে এই কাজটা করেছিল। এদিকে টিআরএফ নিজেরা দুবার দাবি করেছে তারা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে। অথচ পাকিস্তান কূটনৈতিকভাবে তাদের আড়াল করতে একেবারে উঠেপড়ে লেগেছে।
প্রসঙ্গত এই টিআরএফ হল লস্কর ই তইবার একটা ছায়া সংগঠন। ৩৭০ ধারা রদ করার পর থেকেই এই ছায়া সংগঠনটির রমরমা শুরু হয়। মাথা তুলতে শুরু করে। এই সংগঠনের মূল কাজ হল কীভাবে হত্য়া করতে হবে তার ছক তৈরি করা, জঙ্গি নিয়োগ করা, অস্ত্র সরবরাহ করা।
এবার ভারত UNSC 1267 স্যাংশন কমিটির কাছে দরবার করতে পারে। টিআরএফকে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করার দাবি ভারতের পক্ষ থেকে করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ও তাদের সদস্যরা যাতে বিদেশ ভ্রমণ না করতে পারে সেব্যাপারে নির্দেশ জারি করার জন্য় অনুরোধ করা হবে।
এদিকে এই টিআরএফ বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি হামলা, গ্রেনেড হামলা, কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।
পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পরে ভারত একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নেয়। এরপর শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর। একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। পাকিস্তানও পালটা হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ভারত প্রতিটি হামলাই প্রতিহত করে।
এদিকে বায়ুসেনাও জানিয়ে দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে বায়ুসেনা। আবার বিএসএফও জানিয়ে দিয়েছে তৈরি রয়েছি আমরা। তারা ভিডিয়ো প্রকাশ করে কতটা তৎপর বিএসএফ তার নজির হাজির করেছে। সব মিলিয়ে কার্যত চোখে চোখ রেখে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি ভারতের।