শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠক রাহুল অভিযোগ করে বলেন, 'মোদী সরকার ওবিসিদের ক্ষমতায়ণের পক্ষে নয়। তারা আসলে আসালে আদাদিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছেন।'
সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী (Photo by Sanchit Khanna/ Hindustan Times)
ক্ষমতায় এলে ওবিসি, এসসি এবং এসটিদের প্রকৃত প্রতিনিধি খুঁজে বার করতে জাতি শুমারি করবে ইন্ডিয়া জোট। শুক্রবার এমনটাই জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। যদিও তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও জাতি শুমারি করার পক্ষে নয় তারা।
শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠক রাহুল অভিযোগ করে বলেন, 'মোদী সরকার ওবিসিদের ক্ষমতায়ণের পক্ষে নয়। তারা আসলে আদানিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছেন।' কংগ্রেস নেতা বলেন,'আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার। আমাদের সরকার আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা জাতি সুমারির কাজ শুরু করব। দেশ জানবে ওবিসি, এসসি, এসটির সংখ্যা। এই কাজ একদিনের নয়।'
২০০৮ সালে আনা মহিলা সংরক্ষণ বিলটি ওবিসি কোটা রাখা উচিত ছিল তা এদিন স্বীকার করে নেন রাহুল। যে বিলটি আনে কংগ্রেস নেতৃত্বেধীন ইউপিএ সরকার। এটি যে পাশ করাতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস তাও স্বীকার করে নেন রাহুল। জাতি শুমারির পক্ষে সওয়াল করে রাহুল বলেন, ‘দুটি ইস্যু নিয়ে বিজেপি বিভ্রান্ত করতে চায়। বর্ণ শুমারি এবং আদানি। ওরা ওবিসির হাতে প্রকৃত ক্ষমতা দিতে চায় না। ওরা আদানিতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করতে চায়।’
এ প্রসঙ্গে রাহুলের আরও সংযোজন, 'আমি সরকারের ৯০ জন গুরুত্বপূর্ণ সচিবের মধ্যে মাত্র ৩ ওবিসিকে খুঁজে পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছি। ওবিসিরা কি ভারতের জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ? তাদের থেকে আমরা কী পরিমাণে অংশগ্রহণ চাই? এরপরই প্রশ্ন উঠে আসে দেশে ওবিসির সংখ্যা কত? আর সেটা জানার একমাত্র উপায় হল জাতি শুমারি।'
সংসদের বিশেষ প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, 'কিছুদিন আগে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হল। আমরা অনেক ধুমধাম করে নতুন সংসদ ভবনে চলে এলাম। প্রধানমন্ত্রী তিনি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করতে চলেছেন। মহিলা সংরক্ষণ বিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কিন্তু আমরা এরসঙ্গে আরও দুটি আকর্ষণীয় বিষয় খুঁজে পেয়েছি, তা হল এই বিল এখনই বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বিলটি দশ বছর পর কার্যকরী হবে। দশ বছর দেরি মান বিষয়টি অর্থহীন হয়ে গেল।'