ক'দিন আগেই বালোচিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাকের ঘটনায় মুখ লাল হয়েছিল পাকিস্তানের। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তারা ভারতের দিকে আঙুল তুলেছিল। এই সবের মাঝেই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ফের একবার কাশ্মীর নিয়ে 'বুলি' আওড়াল পাকিস্তান। আর এর জবাবে জোর 'ধমক' দিল ভারত। রাষ্ট্রসংঘে ইসলামোফোবিয়া (মুসলিম বিদ্বেষ) বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন উপলক্ষে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশ সচিব তেহমিনা জানজুয়া রাষ্ট্রসংঘে দাঁড়িয়ে কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে এসেছিলেন। এরই জবাব দেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী কূটনীতিক প্রতিনিধি পি হরিশ। (আরও পড়ুন: বরোদায় মহিলাকে পিষে 'নিকিতা' বলে চেঁচায় সেই চালক, কে এই 'নিকিতা'?)
আরও পড়ুন: মেধাবী ভারতীয় ডক্টরেট ছাত্রীর ভিসা বাতিল USA-র, কে এই রঞ্জনি শ্রীনিবাসন?
হরিশ বলেন, 'নিজেদের অভ্যাস তোই পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশ সচিব আজ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে অযাচিত কথা বলেছেন। এই জাতির ধর্মান্ধ মানসিকতা সর্বজনবিদিত। তাদের গোঁড়ামির রেকর্ডও জানা আছে সবার। এই ধরনের প্রচেষ্টায় কিছু যায় আসবে না। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং সবসময় থাকবে। সেই বাস্তবতার পরিবর্তন ঘটাতে পারবে না পাকিস্তান।' (আরও পড়ুন: বছর ১২-র নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার ২৩ বছরের তরুণী)
আরও পড়ুন: ইউনুস ও রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের ইফতারি পার্টিতে 'অব্যবস্থা'? মৃত ১ রোহিঙ্গা, জখম ২
এরপর ইসলামোফোবিয়া নিয়ে ভারতীয় দূত আরও বলেন, 'মুসলিমদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনার নিন্দায় রাষ্ট্রসংঘের বাকি সদস্যদের সঙ্গে ভারত ঐক্যবদ্ধ। এটা স্বীকার করা অপরিহার্য যে ধর্মীয় বৈষম্য একটি বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ যা সমস্ত ধর্মের অনুসারীদের প্রভাবিত করে। বিশ্বাসের বিষয়ে যে কোনও আলোচনার জন্য অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, বিভক্ত নয়।' (আরও পড়ুন: হোলির উপহার! রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা এই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন বাড়ল)
আরও পড়ুন: রাজ্য সভাপতি নিয়ে জল্পনার মাঝে ১৭ জেলার সভাপতি বদল BJP-র, পদ গেল একাধিক MLA-র
এর আগে বালোচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেসে হাইজ্যাকের ঘটনায় ভারতকে টেনে আনায় পাকিস্তানকে তোপ দেগেছিল নয়াদিল্লি। সাংবাদিক বৈঠক করে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) পাবলিক রিলেশনস বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছিলেন বালোচিস্তান যে 'জঙ্গি' কার্যকলাপ চলছে, সেটার মূল হোতা হল ‘পূর্ব দিকে থাকা প্রতিবেশী’ দেশ তথা ভারত। কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসে হাইজ্যাকের যে ঘটনা ঘটেছে, সেটাও ওই প্রচেষ্টার ফসল বলে দাবি করেছেন আইএসআইয়ের শীর্ষকর্তা। (আরও পড়ুন: হোলিতে ছড়াল হিংসা, ছোড়া হল পাথর, বাইক-দোকানে আগুন, জখম বেশ কয়েকজন)
এর আগে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, 'পাকিস্তান যে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে, সেটা আমরা পুরোপুরি খারিজ করে দিচ্ছি। পুরো দুনিয়া জানে যে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর কোথায় অবস্থিত। অন্যদের দিকে আঙুল তোলার আগে এবং নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও ব্যর্থতার দায় অন্যদের ঘাড়ে চাপানোর আগে পাকিস্তানের দেশের অভ্যন্তরেই তাকানো উচিত।'