জম্মু ও কাশ্মীর থেকে কর্ণাটক যাচ্ছিল সেনা বাহিনীর বিশেষ ট্রেন। ঘটনা ১৮ সেপ্টেম্বরের। যাত্রাপথে মধ্যপ্রদেশের নেপানগরের সাগফাতা স্টেশনের কাছে ট্রেন বিস্ফোরণে ওড়ানোর চেষ্টা হয় বলে খবর। সেখানে ট্রেনের ট্র্যাকে রাখা ডিটোনেটরের ওপর দিয়ে ট্রেন যেতেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেব চালক।
চালকের বুদ্ধিমত্তার জেরে বড় বিপত্তি থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ট্রেন থামিয়েই চালক স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন। এরপরই প্রশাসন নামে তদন্তে। কারা রয়েছে এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে? নিছকই দুষ্কৃতীদের কোনও কাণ্ড? নাকি কারোর দুষ্টুমি? নাকি এই ঘটনার নেপথ্যে বড় কোনও নাশকতা বা ষড়যন্ত্র রয়েছে? গোটা ঘটনা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এটিএস, এনআইএ, রেলের পদস্থ কর্তারা। জানা যাচ্ছে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখানে তদন্তে নেমেছে। যেহেতু ট্রেনটি সেনার ট্রেন, তাই ঘটনা ঘিরে বেশ কিছুটা গোপনীয়তা মেনে চলা হচ্ছে।
( Onion Price Rise: বাংলায় পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে বিস্ফোরক BJP সাংসদ! মমতার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তুলে চিঠি কেন্দ্রকে)
( Offbeat Travel: পুজোয় অফবিট কোথাও বেড়ানোর প্ল্যান? কলকাতা থেকে কয়েক ঘণ্টা দূরের গনগনি মন ভরাতে পারে)
( Man Returned From Russia: ‘খুব বিপজ্জনক জায়গায়…’, যুদ্ধের মাঝে রাশিয়া থেকে ফিরলেন বাংলার উরগেন, কীভাবে পড়েছিলেন ফাঁদে?)
অফিসাররা জানিয়েছেন, আরডিএক্স বোঝাই ডিটোনেটর সেখানে মেলেনি। বরং সেখানে ফগ ডিটোনেটর মিলেছে। উল্লেখ্য, এই ফগ ডিটোনেটর দিয়ে মূলত, ট্রেনে থাকা লোকো পাইলট বা চালককে ,সতর্ক করা হয় সামনে যদি কুয়াশা থাকে, তা নিয়ে। ফলে সামনে কুয়াশা থাকলে, তবেই এই ফগ ডিটোনেটর ব্যবহার হয়। তবে এই ফগ ডিটোনেটর কোনও রেলের কর্মী রাখেননি বলে প্রাথমিক সূত্রে জানা গিয়েছে। তাহলে রাখল কে? প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রেলের ফগ ডিটোনেটর কোনও দুষ্কৃতীর হাতে গিয়েছে? তারাই এই কাজ করেছে? জম্মু ও কাশ্মীর থেকে কর্ণাটকগামী সেনার বিশেষ এই ট্রেনে কি তাহলে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল? প্রশ্নের উত্তর জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
( Durga Puja 2024: নবমীর ধুনুচি নাচে পাড়া কাঁপাতে চান? এই ছোট্ট টিপস খেয়াল রাখলেই কেল্লাফতে!)