ক্যাম্পাসে প্লেসমেন্টের সময় পড়ুয়াদের জাতি বৈষম্যের অভিযোগ অস্বীকার করল আইআইটি দিল্লি কর্তৃপক্ষ। একটি অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন (এনসিএসসি) জবাব তলব করেছিল আইআইটি দিল্লির কাছে। তার উত্তরে অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। আইআইটি দিল্লি জানিয়েছে, আর্থ-সামাজিক বিভাগ এবং জেইই-অ্যাডভান্সড র্যাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য কেবল নিয়োগ পোর্টালে উপলব্ধ ছিল। পড়ুয়াদের অনুমতি ছাড়া কোনও নিয়োগকারী এগুলি দেখতে পারে না।
আরও পড়ুন: ‘বিশ্বের সেরা কোডার’ হলেন IIT-র পড়ুয়া, পুরস্কার পেলেন ১০,০০০ ডলার
অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৫ জানুয়ারি এনসিএসসি আইআইটি দিল্লিকে নোটিশ দিয়েছিল। গত ২৯ জানুয়ারি সেই নোটিশের উত্তরে আইআইটি-দিল্লি কর্তৃপক্ষ অভিযোগগুলিকে ‘সম্পূর্ণ ভুল’ এবং ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, অভিযোগ তুলেছিলেন আইআইটির প্রাক্তন ছাত্র ধীরজ সিং। তিনি অভিযোগে জানিয়েছিলেন, যে এসসি পড়ুয়ারা প্লেসমেন্টের সময় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে তফসিলি জাতির পড়ুয়ারা বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন কারণ প্রতিষ্ঠান তাদের আর্থ-সামাজিক বিভাগ এবং তাদের জেইই-অ্যাডভান্সড র্যাঙ্ক সম্পর্কে বাধ্যতামূলকভাবে তথ্য পূরণ করতে বাধ্য করেছিল। এবিষয়ে তিনি এনসিএসসি আইআইটি-দিল্লি, আইআইটি-বোম্বে এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছিলেন।
তিনি আরও অভিযোগ জানিয়েছিলেন, এর ফলে এই পড়ুয়াদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে বেসরকারি কোম্পানিগুলি বর্ণ ও জাতিগত তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বাদ দিচ্ছে। অভিযোগকারী এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য প্লেসমেন্ট পোর্টালের স্ক্রিনশটও সংযুক্ত করেছিলেন। আইআইটি দিল্লি স্পষ্ট করেছে, যে পড়ুয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য ভর্তির রেকর্ড থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হয় এবং সিস্টেমে লগ ইন করার পরেই কেবল পড়ুয়ারা তা দেখতে পায়। সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার সম্মতি ছাড়া নিয়োগকারী সহ অন্য কোনও ব্যক্তি এই তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে না। স্ক্রিনশটের পাল্টা জবাব দিয়ে আইআইটি দিল্লি এটিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা দাবি করে যে শুধু একজন শিক্ষার্থীর বিষয়টিকেই দেখায়।উল্লেখ্য, আইআইটি দিল্লির পাশাপাশি আইআইটি বম্বেতেও প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে ৩০০ জন পড়ুয়ার উপর বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছিল।