গত ১২ জুন আমদাবাদে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। গোটা ঘটনায় যাত্রী এবং ক্রু মেম্বারসহ সকলেই মারা যান। তবে অস্বাভাবিকভাবে ওই বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যান একজন যাত্রী, বিশ্বাস কুমার রমেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ ওই ব্যক্তিকে ভাগ্যবান বলে দাবি করেছেন কেউ আবার বলেছেন ভগবানের আশীর্বাদ ছাড়া এমন হয় না।
দুর্ঘটনায় রমেশ বেঁচে গেলেও মৃত্যু হয়েছে রমেশের দাদার। সম্প্রতি চোখে ব্যান্ডেজ থাকা অবস্থাতেই দাদার শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন রমেশ। তবে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে যেখানে রমেশকে ভাগ্যবান অভিহিত করা হয় সেখানে অভিনেত্রী সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি ওই ব্যক্তিকে ‘মিথ্যাবাদী ’বলে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: 'হারিয়ে যেতে চাই…', কেন এমন কথা বললেন অভিষেক? কী হল হঠাৎ?
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ‘কমল’, থাকবে প্রধানমন্ত্রীর উক্তি, আমিরের ছবিতে কী কী বদল সেন্সর বোর্ডের
বিমান দুর্ঘটনার পর X হ্যান্ডেলে সুচিত্রা লেখেন, ‘এটা কি করে হয়? সুদূর বিদেশে থাকা তার পরিবার এই গল্প বিশ্বাস করেছে? এর মধ্যেই ভাইয়ের শেষকৃত্যেও তাকে উপস্থিত থাকলে দেখা যায়। সত্যি যদি এর মধ্যে কিছুর রহস্য থাকে তাহলে শুধু গুরুতর শাস্তি নয়, এনার মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন।’

সুচিত্রার পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেই একাধিক কটাক্ষকে জর্জরিত করা হয় অভিনেত্রীকে। তারপরেই সুচিত্রা আরও একটি পোস্ট করে গোটা ব্যাপারটি নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন সকলের থেকে। দ্বিতীয় পোস্টে সুচিত্রা লেখেন, ‘এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি সম্পর্কে আমার শেষ টুইট মুছে ফেলা হয়েছে। কি কারনে মিথ্যা খবর প্রচারিত হচ্ছে তা ঈশ্বর জানেন। আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
আরও পড়ুন: ছবি মুক্তির আগেই ১২০ কোটি টাকা ক্ষতি, আমির নিলেন কোন বড় সিদ্ধান্ত?
আরও পড়ুন: 'আমির ১০ বার ফোন করে আমায়…',বন্ধুর আবদার রাখতে কী করলেন শাহরুখ?
প্রসঙ্গত, ৪০ বছর বয়সী বিশ্বাস কুমার রমেশ ছিলেন একজন ব্রিটিশ নাগরিক। ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের ১১ এ সিটে বসে থাকার কারণে শেষ মুহূর্তে তিনি লাফিয়ে পড়েন বিমান থেকে এবং অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। আহত রমেশকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় আমদাবাদের সিভিল হাসপতালে, যেখানে তার চিকিৎসা চলে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই ভাই অজয়ের শেষকৃত্যে দেখতে পাওয়া যায় রমেশকে।