স্ত্রী, কন্যা এবং ভাইঝিকে গলা কেটে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করল এক হোম গার্ড। খুনের জন্য ব্যবহার করা ছুরি নিয়েই থানায় পৌঁছল ওই হোম গার্ড। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর পিনিয়া জালাহাল্লিতে। ওই হোম গার্ডের নাম গঙ্গারাজু। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় হতবাক পুলিশ। ঘটনায় গঙ্গারাজুর বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে হৃৎপিণ্ড, লিভার ৪ টুকরো, মুকেশের ময়নাতদন্তে হাড়হিম তথ্য
জানা গিয়েছে, গঙ্গারাজু বেঙ্গালুরুর আরবান জেলার হেব্বাগোডি থানায় হোম গার্ড হিসাবে কর্মরত। জানা গিয়েছে, স্ত্রী ভাগ্য (৩৬), কন্যা নভ্যা (১৯), এবং ভাইঝি হেমাবতী (২৩)-কে খুন করেছে গঙ্গারাজু। নভ্যা একটি বেসরকারি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। হেমাবতী বিবাহবিচ্ছেদের পর তাঁর সঙ্গে থাকতেন। গঙ্গারাজুর পরিবার নেলামঙ্গলার একটি বাড়িতে গত ৬ বছর ধরে ভাড়া থাকত।
পুলিশ জানিয়েছে, হেব্বাগোডি থানার হোম গার্ড গঙ্গারাজু নিজেই খুনের খবর জানাতে তিনি নিজেই বিকেল ৪ টের দিকে জরুরি হেল্পলাইন নম্বর ১১২-তে ফোন করেছিলেন। পুলিশ তার বাড়িতে পৌঁছলে তারা দেখতে পায় মৃতদেহগুলি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। যদিও গঙ্গারাজু অবশ্য ঘটনাস্থলে ছিলেন না। কারণ ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণের জন্য থানায় গিয়েছিলেন।
পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, ভাগ্যকে তিনি সন্দেহ করতেন। প্রায়ই এই দম্পতি এনিয়ে ঝগড়া করত। তার জেরেই রাগের মাথায় তাকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করেন। মেয়ে দুটি তাকে থামানোর চেষ্টা করে। তারা উল্টে গঙ্গারাজুকেই দোষারক করেন। তার জেরে তাদেরকেউ তিনি খুন করেছেন।
গঙ্গা রাজু মহিলার মৃত্যু নিশ্চিত করার পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে বলেছিলেন যে তিনি আত্মসমর্পণ করতে চান। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) বিকাশ কুমার বিকাশ জানান, পারিবারিক কলহ ও ব্যক্তিগত কলহের জেরে অভিযুক্ত তিনজনকে হত্যা করেছে। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) সাইদুলু আদাভাথ বলেছেন, ফরেনসিক দল ইতিমধ্যেই বাড়ি থেকে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। তবে সঠিক উদ্দেশ্য এখনও তদন্তাধীন। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। খুনের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে কি না পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে।