রাশিয়া ও ইউক্রেন সংঘাতের মধ্যে ভারতে দুর্বল থাকল সোনা এবং রুপোর দাম। সোমবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৫০,০৭০ টাকা। তার ফলে পরপর দু'দিন ভারতীয় বাজারে কমেছে হলুদ ধাতুর দর। অন্যদিকে, এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ০.৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৩,৬৫৯ টাকা।
বিশ্ব বাজারেও কমেছে সোনার দাম। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.২ শতাংশ কমে ১,৮৯৩.৮ ডলারে ঠেকেছে। যেখানে গত সেশনে আট মাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল হলুদ ধাতু। এক আউন্সের দাম ছুঁয়ে ফেলেছিল ১,৯০৮ ডলার। অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে কমেছে রুপোর দাম। এক আউন্স স্পট সিলভারের দাম ০.৭ শতাংশ কমে দাঁড়িযেছে ২৩.৭৯ ডলার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া ও ইউক্রেন সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক স্তরে যে বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে, তার প্রভাব পড়েছে বাজারে। বিশেষত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আলোচনার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তাতে সুরক্ষিত বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে সোনার চাহিদা বেড়েছে। কোটাক সিকিউরিটিজের কমোডিটি রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট রবীন্দ্র রাও জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সংঘাতের আবহে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের আধিকারিকরা যে মন্তব্য করেছেন, তারও প্রভাব পড়েছে সোনার দামে। সেই উত্তেজনা যেহেতু অবিলম্বে প্রশমিত হচ্ছে না, তাই ইতিবাচক প্রবণতা বজায় থাকবে।
সেই পরিস্থিতিতে জিয়োজিত্ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ব বাজারে এক আউন্স সোনার দাম ১,৯১০ ডলারের উপরে থাকলে গেলে লাগাতার দাম বাড়তে হবে। সোনার দাম সরাসরি ১,৮৪০ ডলারের নীচে নেমে গেলে তবেই তা দুর্বলতা বলে বিবেচনা করবে বাজার।