বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Fraud Alert: চাকরির মেসেজ এসেছে? প্রথমে টাকাও দেবে, পরে খোয়াবেন লাখ-লাখ টাকা, ফাঁদ অনলাইনে!
পরবর্তী খবর
Fraud Alert: চাকরির মেসেজ এসেছে? প্রথমে টাকাও দেবে, পরে খোয়াবেন লাখ-লাখ টাকা, ফাঁদ অনলাইনে!
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 04 May 2023, 01:31 PM ISTAyan Das
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা ক্রমশ বাড়ছে। জেরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতা নীতীন কামাথ বলেন, ‘এখন প্রত্যেকেই (প্রতারণার) নিশানায় চলে এসেছেন এবং আমাদের সচেতনতা তৈরি করতে হবে।’
ফোন এল। কোনওকিছুর বাহানায় আপনার থেকে ওটিপি জেনে নিল, তারপর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করে দিল। অথবা কোনও লিঙ্কে ক্লিক করতে বলল। তারপর আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিল।
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণার সেই চিরাচরিত ধরনও যেন এখন ছেঁদো হয়ে গিয়েছে। রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে পরিকল্পনা করে এমনভাবেই প্রতারণার জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে, যা অনেক সময় টেক-স্যাভি মানুষও চট করে ধরতে পারেন না। সেরকমই একটি ঘটনার কথা জানালেন অনলাইন স্টক ট্রেডিং সংস্থা জেরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতা নীতীন কামাথ। যে ঘটনায় প্রতারিত হন তাঁর এক বন্ধু। তিনি বলেন, ‘এখন প্রত্যেকেই (প্রতারণার) নিশানায় চলে এসেছেন এবং আমাদের সচেতনতা তৈরি করতে হবে।’
কীভাবে আর্থিক প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল?
জেরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জানান, প্রাথমিকভাবে হোয়্যাটসঅ্যাপে পার্ট-টাইম চাকরির অফার এসেছিল। প্রথমে কয়েকটি কাজ দেওয়া হয়েছিল। কয়েকটি জায়গার রিসর্ট এবং রেস্তোরাঁর ভুয়ো রিভিউ দিতে বলেছিল প্রতারকরা। সেই কাজ শেষ হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩০,০০০ টাকা চলেও এসেছিল।
তারপর প্রতারণার জাল আরও ছড়ানো হয়েছিল। তৈরি করা হয়েছিল একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ। তাতে আরও অনেকে ছিল। পরবর্তী কাজ হিসেবে একটি মক ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করতে বলা হয়েছিল (বিটকয়েন বা ইথেরিয়ামের মতো কয়েন নয়, এমন কয়েন ব্যবহার করা হচ্ছিল, যেগুলি সহজেই নিজেদের সুবিধা মতো ব্যবহার করতে পারত প্রতারকরা)। যে লাভ হয়েছিল, সেটা পেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এক পয়সা তাঁকে দিতে হয়নি।
কিন্তু সেটাই ছিল প্রতারণার মূল ‘চাল’। জেরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জানান, আরও বেশি রিটার্নের টোপ দিয়ে টাকা পাঠাতে বলা হয়েছিল। গ্রুপের যে সদস্যরা ছিল, তারা বেশি টাকা দেওয়ার দাবি করায় কামাথের বন্ধুও বড় অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন। পরে সেই টাকা তোলার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু টাকা তুলতে গেলে নির্দিষ্ট সংখ্যক ট্রেডার লাগবে বলে জানানো হয়েছিল। যে টাকা দিয়েছিলেন, সেটা ফেরত না পাওয়ার যে ভয় তৈরি হয়েছিল, তাতে ভর করে ওই ব্যক্তি আরও টাকা দেন। কিন্তু পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার পরও কোনও লাভ হয়নি। বরং তাঁকে ঋণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।