তেজ প্রতাপ যাদবের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন ঐশ্বর্য। এরপরেই স্ত্রী ঐশ্বর্যের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আদালতে মামলা করেছিলেন তেজ প্রতাপ যাদব। সেই মামলার শুনানি হয় পাটনার পরিবার আদালতে। বিবাহবিচ্ছেদের মামলার শুনানিতে নিম্ন আদালত ঐশ্বর্যকে খোরপোষ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
আরজেডি নেতা তেজপ্রতাপ যাদব (ফাইল ছবি সৌজন্যে এএনআই)
বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় অস্বস্তিতে পড়লেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদের পুত্র তথা বিহারের পরিবেশমন্ত্রী তেজপ্রতাপ যাদব। আদালত স্বীকার করে নিয়েছে যে স্ত্রী ঐশ্বর্য রায়ের উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাতেন তেজপ্রতাপ। তার ভিত্তিতে বিহারের একটি পরিবার আদালত তেজ প্রতাপ যাদবকে ১ মাসের মধ্যে ঐশ্বর্যর থাকার বিকল্প ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া, বাড়ি ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলের খরচও বহন করার নির্দেশ রয়েছে। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ তেজপ্রতাপ ঐশ্বর্যের ওপর কোনওভাবেই নির্যাতন চালাতে পারবেন না।
তেজ প্রতাপ যাদবের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন ঐশ্বর্য। এরপরেই স্ত্রী ঐশ্বর্যের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আদালতে মামলা করেছিলেন তেজ প্রতাপ যাদব। সেই মামলার শুনানি হয় পাটনার পরিবার আদালতে। বিবাহবিচ্ছেদের মামলার শুনানিতে নিম্ন আদালত ঐশ্বর্যকে খোরপোষ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু নির্যাতনের মামলায় ঐশ্বর্যকে সুরক্ষা দেয়নি। পরে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন ঐশ্বর্য। হাইকোর্ট আবেদনটি গ্রহণ করে। পরে নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত করে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতকে নির্যাতনের মামলা পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেয়।
আবার নিম্ন আদালতে মামলা শুনানি হলে বিচারক মেনে করে নেন যে তেজ প্রতাপ যাদব ঐশ্বর্যকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন। এরপর আদালত রায় দেওয়ার সময় ঐশ্বর্যকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। নিম্ন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ঐশ্বর্য এবং তেজ প্রতাপ এই আদেশের অধীনে দেওয়া নিরাপত্তার কারণে একই ছাদের নীচে না থাকলেও তিনি মানসিক বা শারীরিক নির্যাতনের সম্মুখীন হলে রাজ্য সরকার একজন সুরক্ষা অফিসার নিয়োগ করবে।আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নির্দেশের ফলে ঐশ্বর্যকে যদি কোনওভাবে শারীরিক বা মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয় তাহলে তেজপ্রতাপ যাদব অভিযুক্ত হবেন।