প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয় নিয়ে আলোচনা হল। এবং সেখানেই নাকি বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বিলিয়নেয়ার উদ্যোক্তা ও ডিওজিইর প্রধান ইলন মাস্ক এবং মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেডারেল কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি আলোচনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা বা ইলন মাস্ক নন, নিজ নিজ সংস্থায় ও দফতরে কর্মী ও নীতি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তাদের। এর আগে ট্রাম্প অবশ্য বলেছিলেন, এজেন্সির প্রধানরা তাদের ব্যয় না কমালে 'ইলন কাটছাঁট করবেন'। (আরও পড়ুন: ভারত বিদ্বেষী হিজবুতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তোপ ইউনুস সরকারকেও)
আরও পড়ুন: আসতে চলেছে বড় পরিবর্তন? শুধু আধার নয়, এবার রেশন কার্ডের সঙ্গে জুড়তে পারে...
এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়, এই মন্ত্রিসভার বৈঠকে নাকি মার্কো রুবিওর বিরুদ্ধে মাস্ক অভিযোগ করেন, ব্যাপক আকারে ফেডারেল কর্মী হ্রাস করার পরিকল্পনায় বাধা দিচ্ছেন তিনি। রুবিও পাল্টা দাবি করেন, স্টেট ডিপার্টমেন্টের দেড় হাজার কর্মী আগাম অবসর নিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, ইলন মাস্ককে নিয়ে এরপর ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছিলেন রুবিও। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট নাকি বলেছিলেন, 'ইলন মাস্ক কি আবার কর্মী নিয়োগ করতে চান যাতে তাঁদের ছাঁটাই করতে পারেন।' এদিকে এই নিয়ে এনবিসির সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে তিনি দাবি করেন, এই খবর ভুয়ো। দু'জনের মধ্যে কোনও বিবাদ দেখা দেয়নি। আমি সেখানে ছিলাম। (আরও পড়ুন: মুখে 'ড্রাগন-হাতির নাচের' বার্তা, তাও ভারতকে গোল দিতে পাকিস্তানকে 'পাস' চিনের?)
আরও পড়ুন: হাম্পিতে ইজরায়েলি তরুণী ও হোমস্টে মালিককে গণধর্ষণ, নিখোঁজ ওড়িশার পর্যটক
উল্লেখ্য, মার্কিন ফেডারেল সরকারের খরচ বাগে আনতে এর আগে 'ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি' চালু করেছিলেন ট্রাম্প। সেই দফতরের মাথায় আছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ইতিমধ্যেই একাধিক খাতে খরচে কাটছাঁট করেছেন মাস্ক। এমনকী ইউএস এইড বন্ধও করে দিয়েছেন তিনি। এদিকে সম্প্রতি ইলন মাস্কের তরফ থেকে মার্কিন ফেডারেল কর্মীদের উদ্দেশে বলা হয়েছিল, নিজেদের কাজের রিপোর্ট জমা দিন, নয়ত চাকরি হারাবেন। তবে এফবিআই কর্মীদের কাজের খতিয়ান সংক্রান্ত এমন কোনও রিপোর্ট মাস্কের দফতরকে পাঠাতে বারণ করেন কাশ প্যাটেল। এছাড়াও ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিও নিজেদের কর্মীদের এই ধরনের কোনও কাজের খতিয়ান সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে বারণ করে বলে জানা যায়।