তাহলে কি চলতি বছরেই সেরে ফেলা হবে বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনী প্রক্রিয়া? রবিবার এমনই একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন সেদেশের নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মহম্মদ সানাউল্লাহ। তবে, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা প্রদান করেননি তিনি।
বাংলাদেশের অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'কালের কণ্ঠ'-এ এই সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সেদেশের নির্বাচন কমিশনারকে উদ্ধৃত করে আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে ভোটের প্রস্তুতির কথা বলা হলেও তার সঙ্গে কার্যত বেশ কিছু 'হতে পারে' ধরনের সম্ভাবনাও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
যেমন - নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, তাঁরা আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচন করানোর প্রস্তুতি নিলেও আদতে নির্বাচন কবে হবে, সেটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক ঐক্যমতের উপর নির্ভর করছে!
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) বিকেলে বাংলাদেশের নাটোরের জেলাশাসকের সম্মেলনকক্ষে একটি মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মহম্মদ সানাউল্লাহ।
সেই সভায় তিনি জানান, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্য অনুসারে, সংস্কার সংক্রান্ত সমস্ত প্রস্তাব পেশ হওয়ার পর তাঁরই নেতত্বে একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হবে।
সেই কমিশনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। নির্বাচন কমিশনের তরফে পেশ করা সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়েই পরবর্তী নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলবে।
এদিকে, ইতিমধ্য়েই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করানোর দাবি বাংলাদেশে ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। এমনকী, এই বিষয়টি নিয়ে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন কেয়ারটেকার প্রশাসনের গা-ছাড়া মনোভাবে বিরক্ত হয়ে উঠেছে ইউনুসের একদা 'সঙ্গী'রা।
এই প্রেক্ষাপটে রবিবার বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তাঁরা গণতন্ত্রকামী সমস্ত সংগ্রামী পক্ষের সমর্থন ও সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, 'যাঁরা এত দিন ধরে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই, সংগ্রাম করেছেন, ভালো নির্বাচন চেয়েছেন, আমরা এখন তাঁদের থেকে সহযোগিতা চাই। আমরা তাঁদের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা চাই।'
নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট বার্তা দেন, এত দিন ধরে (হাসিনা জমানায়) মানুষের মধ্য়ে নির্বাচনী স্বচ্ছতা নিয়ে যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছিল, এবার তা দূর করে প্রশাসনের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এদিনের এই মত বিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন - জেলাশাসক আসমা শাহিন, পুলিশ সুপার মারুফত হুসেন, জেলা নির্বাচক নজরুল ইসলাম-সহ নির্বাচন ও ভোটারতালিকা সংক্রান্ত বিষয়গুলির সঙ্গে যুক্ত অন্যরা।