বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সি যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৫০। আর ৭০ জন যাত্রীর বয়স ছিল ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এই আবহে যাত্রীরা কার মাধ্যমে এই বিমানের টিকিট কাটিয়েছিল। এই ডাঙ্কি উড়ানের নেপথ্যে কে আছে, তা খুঁজে বের করতে গুজরাট পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
ডাঙ্কি উড়ানের যাত্রীদের অধিকাংশই গুজরাট কিংবা পঞ্জাবের
ফ্রান্স থেকে গতকাল সকালেই মুম্বই এসে পৌঁছান ২৭৬ জন ভারতীয়। বিমানে করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মধ্য আমেরিকায় যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় ফ্রান্সে বিমানটিকে আটকানো হয়েছিল কয়েকদিন আগে। এই আবহে ভ্রমণের বৈধ নথিপত্র না থাকায় দেশে ফিরতে হয়েছে সেই ২৭৬ ভারতীয়কে। আর দেশে ফিরতেই বিমানবন্দরে সিআইএসএফ-এর জেরার মুখে পড়েন এই যাত্রীরা। পরে একে একে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে এই উড়ানের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন যাত্রীদের সঙ্গে। তবে ক্যামেরা ও সাংবাদিকদের বুম দেখেই প্রত্যেকেই মুখ লুকিয়ে ফেলেন। এড়িয়ে যান সংবাদমাধ্যমকে। এরই মাঝে এবার মুখ খুললেন চার্টার্ড বিমান সংস্থার আইনজীবী। তা থেকে এই ডাঙ্কি উড়ানের রহস্যের ওপর থেকে পর্দা অনেকটা উঠেছে। (আরও পড়ুন: এবার ট্রেনে করে মাত্র ১০ ঘণ্টাতেই হাওড়া থেকে যাওয়া যাবে দিল্লিতে!)
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ফ্রান্সের ভাট্রি বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল একটি বিমান। সন্দেহ করা হচ্ছিল, সেই বিমানে করে মানব পাচার করা হচ্ছে। তাতে ছিলেন ৩০৩ জন ভারতীয়। এই আবহে রবিবার এই মামলায় ফরাসি আদালত নির্দেশ দেয়, বিমানে থাকা ভারতীয়রা ফ্রান্স ছাড়তে পারবেন। এদিকে আটক করা বিমানটিকেও ফ্রান্স ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই আবহে জানা যায়, ফ্রান্সে আটক হওয়া সেই বিমানটি অধিকাংশ ভারতীয়দের নিয়ে সোমবারই মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে। এই আবহে ফরাসি সময়ে দুপুর আড়াইটে নাগা ভাট্রি বিমানবন্দর থেকে সেটি উড়ে যায় আকাশে। আর আজ ভোর ৪টে নাগাদ মুম্বই বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে সেটি। এদিকে বিমানটিতে ৩০৩ ভারতীয় ফ্রান্সে আটকে পড়লেও সেখান থেকে দেশে ফিরেছেন মাত্র ২৭৬ জন। বাকিরা ফ্রান্সেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।