মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে লকডাউন কৌশল নিয়ে বিশেষ ভিডিও কনফারেন্সের সময় তাদের পাশে কেন্দ্র আছে, এই আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, কোন রাজ্যে কম-এটা যে রেশারেশি করার বিষয় নয়, তা সাফ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। যে সব রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে মোদীর বার্তা- ভয় পাবেন না, আপনাদের কেউ দোষ দেবে না। সবাই মিলে করোনা রুখব আমরা।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন যে বড় শহরে যেখানে কিছু অঞ্চল রেড জোন হয়েছে, বাকি জায়গাকে বাঁচাতে হবে রেড জোন হওয়া থেকে। মুখ্যমন্ত্রীদের মোদী বলেন, ' আপনারা জানেন কোথায় কী অবস্থা। বিশ্লেষণ করে দেখুন, কীভাবে ছড়াচ্ছে রোগ নতুন জায়গায়'।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে যে করোনা আক্রান্ত হওয়া দোষের কিছু না। মানুষকে আস্থা দিলেই অন্য জায়গা থেকে এসে তারা টেস্টিংয়ের জন্য যাবেন। তবে খুব বেশি ছাড় দেওয়া চলবে না, কারণ তাহলে সেই অঞ্চলে করোনা ছড়িয়ে যাবে। তবে করোনা হওয়া যে কলঙ্ক নয়, সেই বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে, বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্য। কিন্তু সেই জন্য রাজ্যদের ভয় পাওয়ার বা অনুশোচিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, বলে বার্তা দেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন বিনম্রতার সঙ্গে বলতে চাই যে যদি আপনাদের রাজ্যে করোনা আক্রান্ত বাড়ে, আপনাদের দোষী ঠাওরাবে না কেউ। একই সঙ্গে কম রোগী হলেও, কেউ সেটাকে মহান বলবে না। আমাদের পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে হবে। রাজ্যে করোনা আক্রান্ত বাড়লে, ভয় পাবেন না, বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।
একই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বলেও জানান মোদী। সেই কারণে দু গজ দূরি, এই মন্ত্র ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। আগামী দিনে মাস্ক পরা জীবনের অংশ হয়ে যাবে, অনুমান প্রধানমন্ত্রীর।
এদিন তিনি বলেন অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বাড়লেও খুব সাবধানে করতে হবে। রাজ্যদের তিনি বলেন এটি দেখতে যে ছাড় দেওয়ার পর অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে কী করোনা বেড়েছে। দেশে যে ৩০০ করোনা মুক্ত জেলা গ্রিন জোন আছে, সেখানে যাতে করোনা না ছড়ায়, সেই নিয়ে সব রাজ্যকে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী।
একই সঙ্গে মোদী বলেন যে ধাপে ধাপে গ্রিন জোন থেকে অর্থনীতিকে চালু করে সেটা অরেঞ্জ জোনে নিয়ে আসতে হবে। লকডাউনের মধ্যেই জীবন ও জীবিকা চালাতে হবে এই কথাও বলেন মোদী। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সব রাজ্যকেই সংস্কার প্রক্রিয়ায় তত্পর হতে বলেন যাতে কেউ যদি দেশে লগ্নি করতে চায়, তাদের সমস্যা না হয়।