ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দুই দেশই কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদের পথে। কানাডায় নিযুক্ত কূটনীতিবিদদের ভারত ফেরত ডেকে পাঠিয়েছে। এদিকে ভারতে নিযুক্ত কানাডার কূটনীতিকদের দেশ ছাড়তে বলেছে দিল্লি। এই আবহে এবার ভারতের ঘরোয়া রাজনীতিতেও চর্চা শুরু হয়েছে। এই নিয়ে এবার মোদীকে বার্তা দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি জানান, সরকার যেন গোটা বিষয়ে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করে। (আরও পড়ুন: সত্যি পান্নুন খুনের ছকে জড়িত এক ভারতীয়? এবার আমেরিকায় ভারতীয় তদন্তকারী দল)
আরও পড়ুন: প্যানগং সো-র কাছে বিশাল ঘাঁটি চিনের, খাঁ খাঁ করা জমিতে ৮ মাসেই উঠল ৭০ বিল্ডিং
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জয়রাম রমেশ লেখেন, 'অবিলম্বে ভারত-কানাডা সম্পর্কের অবনতি সংক্রান্ত অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদের উভয় কক্ষের বিরোধীদলীয় নেতা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সব বলবেন বলে আশা করছে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস।' প্রসঙ্গত, ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে। নিজ্জরের হত্যার ঘটনায় ভারতের যোগ থাকতে পারে বলে ২০২৩ সালে কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন ট্রুডো। তবে সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল ভারত। আর সেইসঙ্গে গত এক বছরে বারবার বলে এসেছে যে প্রমাণ দেওয়া হোক নয়াদিল্লিকে। সেই প্রমাণ অবশ্য দিতে পারেনি ট্রুডো সরকার। (আরও পড়ুন: 'SC যে জানে না, এমন নয়… তাই সন্দেহ', বকেয়া ডিএ শুনানি নিয়ে বিস্ফোরক মামলাকারী)
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের লক্ষ্মীলাভ, বোনাস নিয়ে জারি বড় নির্দেশিকা, জানুন বিশদ
এদিকে সম্প্রতি কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনার সঞ্জয় বর্মা-সহ কয়েকজন ভারতীয় কূটনীতিবিদকে একটি মামলার তদন্তে ‘পারসন অফ ইন্টারেস্ট’ করা হয়। সূত্রের খবর, সেই পদক্ষেপের মাধ্যমে জঙ্গি নিজ্জরের মামলায় তাঁদের কাছে কোনও তথ্য থাকতে পারে বলে দাবি করে কানাডা। আর সেই পদক্ষেপের তুমুল ক্ষোভপ্রকাশ করে নয়াদিল্লি। প্রাথমিকভাবে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। তলব করা হয় ভারতে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার স্টুয়ার্ট রস উইলারকে। কানাডা থেকে ভারতীয় হাইকমিশনার-সহ বেশ কয়েকজন কূটনীতিবিদকে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা করা হয়। আর তারপর ভারতে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার-সহ ছয় কূটনীতিবিদকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এই আবহে এবার মুখ খুললেন ট্রুডো।
এই সংঘাতের আবহে কানাডা দাবি করেছে, খলিস্তানিপন্থীদের ভারতীয় এজেন্টরা হেনস্থা করছে। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেই কাজের জন্য সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে নাকি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গেও কাজ করেছে ভারতীয় এজেন্টরা। যদিও ভারত প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে, ট্রুডো সরকার নিজের খলিস্তানি ভোটব্য়াঙ্ককে পকেটে রাখতে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আসছে।