অনাস্থা ডিবেট ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি লোকসভায়। এদিন অধিবেশনের শুরু থেকেই কার্যত তুলকালাম অবস্থা দেখা যায় সংসদে। বিরোধী INDIA জোট সরকারকে কোণঠসা করতে একের পর এক তোপ দাগে। তার মাঝে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে কংগ্রেস এদিন স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের কৃষি পরিবারের বিধবা কলাবতী বান্দুরকরকে নিয়ে অমিত শাহ সংসদে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই কলাবতীর সঙ্গেই ২০০৮ সালে সাক্ষাৎ করেছিলেন রাহুল গান্ধী।
এদিন টুইটারে কংগ্রেসের মণিকম ঠাকুর লেখেন,'আমি একটি স্বাধিকার ভঙ্গের ডাক দিয়েছি শ্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে, কারণ তিনি গতকাল শ্রীমতি কলাবতীর কাহিনি সংসদে স্পিকারকে বলতে গিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন।' প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রের বিদর্ভে কলাবতীর স্বামী কৃষিগত কিছু কারণে আত্মহত্যা করেন। তারপর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এদিকে, সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় অমিত শাহ উল্লেখ করেন রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক কেরিয়ারের। নিজের বার্তার শাহ অভিযোগ করেন, রাহুলের রাজনৈতিক কেরিয়ার চাঙ্গা করতে ১৩ টি ‘ব্যর্থ’ উদ্যোগের। সেক্ষেত্রে তিনি কলাবতীর প্রসঙ্গ টানেন, বলেন, মোদী সরকারই একমাত্র যে কলাবতীকে ঘর ফিরে পেতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও বাদবাদি সরকারি নানান স্কিম পেতেও মোদী সরকার তাঁকে সাহায্য করেছে বলে অমিত শাহ সংসদে বক্তব্য রাখেন। এদিকে, এই প্রসঙ্গ ধরে কংগ্রেসের দাবি, মোদী সরকার মিথ্যা কথা বলছে। এই নিয়ে তারা কলাবতীর ভিডিয়ো টুইটারে প্রকাশ করে। সেখানে কলাবতীকে দাবি করেন যে, রাহুল গান্ধী তাঁকে একমাত্র দারিদ্রতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন। এই নিরিখে মণিকম ঠাকুরের অভিযোগ, সংসদের পবিত্রতা বজায় রাখেননি অমিত শাহ। তিনি ভ্রান্ত তথ্য পেশ করেছেন সংসদে। যেখানে সংসদে কেবলমাত্র সত্যি তথ্য পেশ করে তার পবিত্রতা বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে।
মণিকম ঠাকুরের অভিযোগ,' মাননীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিবৃতি এবং শ্রীমতি কালাবতী যে বাস্তব তুলে ধরেছেন তা বহু সন্দেহ তুলে ধরেছে। তাঁর বক্তব্য আর লোকসভায় উপস্থাপিত তথ্যের অসঙ্গতি সম্পর্কে গুরুতর সন্দেহ উত্থাপন করে । এটি বিধি ২২, অধ্যায়ের অধীনে বিশেষাধিকারের একটি সম্ভাব্য লঙ্ঘন করে। লোকসভা সংক্রান্ত বিধির ২০ এর বিধি লঙ্ঘন বলে এটিকে মনে করা হয়।' মণিকম ঠাকুর আশা প্রকাশ করেছেন যে, লোকসভার স্পিকার এই ইস্যুতে যথাযথ ব্যবস্থা করবেন।