মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক খেলায় কোন গুরুত্ব দেবে না বেজিং। এমনটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক। মঙ্গলবার ফের চিনা পণ্যের আমদানিতে বেজিংয়ের ঘাড়ে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। যার জেরে নতুন করে উত্তেজনার তৈরি হয়েছে যুযুধান দুই দেশের মধ্যে। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে কাছে পেয়ে ভারতের সাথে 'শত্রুতা' বাংলাদেশের? ঢাকাকে হুঁশিয়ারি দিল্লির)
আরও পড়ুন-‘রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল’, ধৃত ২ চিনাকে প্রকাশ্যে আনল ইউক্রেন, নেপথ্যে রাজনীতি?
হোয়াইট হাউজ একটি ফ্যাক্ট শিট প্রকাশ করে চিনা পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। ওয়াশিংটনের বক্তব্য, বেজিংয়ের সাম্প্রতিক রফতানি বিধিনিষেধ এবং প্রতিশোধমূলক শুল্কের প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পরই সামরিক থেকে মহাকাশ- নানা শিল্পের জন্য জরুরি জার্মেনিয়াম, অ্যান্টিমনি, গ্যালিয়াম ইত্যাদির সরবরাহ স্থগিত করেছিল চিন। যার পর শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। যা এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৫ শতাংশ।
এই আবহে বৃহস্পতিবার চিনা বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এভাবে শুল্ক আরোপের হুমকি ও সংখ্যা নিয়ে খেলা চালিয়ে যায়, তাতে কোন গুরুত্ব দেবে না বেজিং।তারা এই শুল্ক নীতিকে ‘সংখ্যার খেলা’ হিসেবে দেখছে ও এই কৌশলের ভিত্তিতে কোন আলোচনায় আগ্রহী নয়।
আরও পড়ুন: 'বিহারের মানুষ চায় না যে রাজ্যটা বাংলা হয়ে যাক', মমতার সরকারকে 'অপমান' মন্ত্রীর?
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ পরষ্পরের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেমেছে। একই সঙ্গে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ বিশ্ব বাজারে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্যান্য দেশের শুল্ক বৃদ্ধির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। শুধু ব্যতিক্রম চিন। বেজিংকে কোনওদিক থেকেই ছাড় দেওয়া হয়নি। শুক্রবার মার্কিন কর্মকর্তারা স্মার্টফোন, সেমিকন্ডাক্টর এবং কম্পিউটারের মতো প্রযুক্তিগত পণ্যের জন্য চিন এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সর্বশেষ শুল্ক থেকে অব্যাহতি ঘোষণা করেছেন।