আব্রাহাম থমাসনামিবিয়া থেকে ভারতে আনা হয়েছিল চিতাদের। মধ্য়প্রদেশের কুনোর অভয়ারণ্যে ছাড়া হয়েছিল কয়েকটি চিতাকে। তাদের চারটি শাবকও হয়েছিল। কিন্তু ১ বছরেই ৮ চিতার মৃত্যু। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে এবার সেই চিতার মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের কাছ থেকে জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রথমত এই চিতাগুলির মৃত্যুর কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই চিতার মৃত্যু ঠেকাতে ঠিক কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে, সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০টি চিতা আনা হয়েছিল নামিবিয়া থেকে। এরপর ৫টি চিতার মৃত্যু হয়। তবে ভারতের চিতার চারটি বাচ্চাও হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্য়ে তিনটি শাবকের মৃত্যু হয়। বিচারপতি বিআর গভাইয়ের মন্তব্য, এক বছরে ৪০ শতাংশ মৃত্যু সেটা ভালো ছবির প্রতিফলন নয়। এদিকে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ এমকে রঞ্জিতসিংয়ের নেতৃত্বে একটি টিম আদালতকে সহায়তা করছে। তারা আগেই সতর্ক করেছিল সরকার যে টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে তার মধ্যে কেউই চিতা বিশেষজ্ঞ নন। গত সপ্তাহে ফের দুটি চিতার মৃত্যুর পরে ওই কমিটি দ্রুত আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা, বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, সরকার এটাকে এমন প্রেস্টিজ ইস্যু বানাল কেন? ওই একজায়গায় চিতা না রেখে আরও জায়গায় তো ছাড়া যেত। সেখানে কোন সরকার রয়েছে এসব দেখার দরকার ছিল না।তবে সরকার জানিয়েছে এই মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। ২৮ জুলাইয়ের মধ্য়ে এনিয়ে হলফনামা জমা দেওয়া হবে বলে সরকার জানিয়েছে। অ্য়াডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য্য ভাট্টি আদালতে জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ স্তরে এই মৃত্যুর কারণ দেখছে। এটা দেশের একটি প্রেস্টিজিয়াস ইস্যু। তবে জানানো হয়েছে, এটা উদ্বেগের নয়। প্রকল্পের প্রথম বছরে ৫০শতাংশ মৃত্যু হতে পারে। তবে ভারতে জন্মানোর পরে তিনটি শাবকের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। তবে আদালত জানিয়েছে, কী কারণে মৃত্যু হচ্ছে সেটা জানতে চাইছি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আমাদের যা পরিবেশ তাতে ওরা মানাতে পারছে না। তাদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। কিডনির সমস্যা হচ্ছে। তবে অ্য়াডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য্য ভাট্টি আদালতে জানিয়েছেন, রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই। অন্য রাজ্যে সব কিছু ব্যবস্থা করার সমস্যা ছিল। তবে এনিয়ে দ্বিতীয়বার চিতার মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট।