নিজের গড়ে তোলা সংস্থার থেকেই বিতাড়িত হওয়ার পথে বাইজু রবীন্দ্রন। তবে আপাতত এই ক্ষেত্রে সাময়িক স্বস্তি পেলেন বাইজু। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে এডটেক সংস্থা বাইজুসের অবস্থা ক্রমেই বেহাল হয়েছে। সংস্থার বাজার দর তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে সংস্থার শীর্ষ পদ থেকে বাইজুকে সরাতে চাইছেন বিনিয়োগকারীরা। এর জন্যে ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি 'এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেনারেল মিটিং' বা ইজিএম ডাকা হয়েছিল। তবে কর্ণাটক হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দিল, আগামী শুনানি পর্যন্ত বাইজুসর সেই 'ইজিএম'-এ নেওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তা কার্যকর করা যাবে না। এদিকে উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে 'হার' হিসেবে দেখতে নারাজ বিনিয়োগকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, আদালত ইজিএম না করার নির্দেশ দেয়নি, বা এটাও বলেনি যে এই ইজিএম বেআইনি। (আরও পড়ুন: লাল ফিতের জট কাটিয়ে আরও দ্রুত গতিতে ছুটবে রকেট, বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের)
আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার গরমিল, জি প্রতিষ্ঠাতা সুভাষচন্দ্রকে জেরা করতে পারে SEBI: রিপোর্ট
উল্লেখ্য, সংস্থার অন্তত ৬ জন শেয়ারহোল্ডর বাইজুকে সংস্থা থেকে ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব পেশ করেছিলেন আগেই। এই আবহে ডাকা হয়েছে ইজিএম বা এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেনারেল মিটিং। এর আগে সংস্থার সাধারণ সভায় প্রস্তাব করা হয়েছিল, শুধু বাইজু নয়, সংস্থার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে যে সব কর্তা উচ্চ পদে আছেন, তাঁদের সবাইকে ছাঁটাই করা হোক। পাশাপাশি বোর্ড অফ ডিরেক্টরকেও ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার এই ইজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের হাতিয়ার '৩৯২.৮৩', ডিএ-র দাবিতে আজ কর্মবিরতিতে সরকারি কর্মীরা
জানা গিয়েছে, এডটেক সংস্থার ৩০ শতাংশের মালিক এক কনসোর্টিয়াম রবীন্দ্রনকে বাইজুস থেকে সরাতে উঠে পড়ে লেগেছে। এই আবহে শুক্রবারের ইজিএম-এ যদি সর্বসম্মতিক্রমে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তো ভালো, না হলে নাকি সেই কনসোর্টিয়ামটি বাইজুসকে এনসিএলটি (ন্যাশনাল কোম্পানিজ ল ট্রাইবুনাল)-তে টেনে নিয়ে যেতে পারে। অবশ্য আপাতত এই ইজিএম-এ নেওয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যাবে না বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট। তবে বিনিয়োগকারীরা জানিয়েছে যে এই ইজিএম হবে। এদিকে ইজিএম ডাকা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে 'চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ'। বাইজু রবীন্দ্রনের অভিযোগ, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের এই সংস্থা সহ আরও যারা এই ইজিএম ডেকেছে, তারা নাকি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।