রাতের রাস্তায় দাউ দাউ করে জ্বলছে কমলা রঙের একটি ল্যাম্বরগিনি! এক্স হ্যান্ডেলে এমনই এক ভয়াবহ ভিডিয়ো পোস্ট করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিল্পপতি গৌতম সিঙ্ঘানিয়া। প্রশ্ন তুলেছেন বিলাসবহুল এবং অত্যন্ত দামি এই গাড়ির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে।
বুধবার রাত ১১টার পর এই পোস্টটি করেছেন গৌতম। সেই পোস্টে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে ট্যাগও করেছেন তিনি। সঙ্গে লিখেছেন, ‘আমার চোখে পড়ল: মুম্বইয়ের কোস্টাল রোডে দাউ দাউ করে আগুনে পুড়ছে একটি ল্যাম্বরগিনি। এই ধরনের ঘটনায় যে বিষয়গুলি নিয়ে অত্যন্ত গুরুতর যে প্রশ্ন ওঠে, সেগুলি হল - ল্যাম্বরগিনির বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরাপত্তাজনিত মাপকাঠি। এই গাড়ির যা দাম এবং সুনাম, তাতে যে কেউই প্রশ্নাতীত গুণমান আশা করতেই পারেন, কোনও ধরনের বিপদের কথা ভাবতে পারেন না।’
পরবর্তীতে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাত ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ। তবে, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। দমকলের পক্ষ থেকে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গাড়িতে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরই একটি ইঞ্জিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টা দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
তবে, যখন ওই গাড়িতে আগুন লাগে, সেই সময় তাতে ক'জন সওয়ার ছিলেন, কিংবা ঠিক কী কারণে বা কীভাবে এই আগুন লাগল, সেটা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
এই ঘটনার আরও একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে কমলা রঙের গাড়িটি ধীরে ধীরে আগুনের গ্রাসে চলে যাচ্ছে। কোনওটায় আবার গাড়িটিতে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া দেখা গিয়েছে। গাড়িটিতে গুজরাটের নাম্বার প্লেটও দেখা গিয়েছে।
গাড়ি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে গাড়িটিতে আগুন লেগেছে, সেটি ল্যাম্বরগিনি রিভলটো। ল্যাম্বরগিনি ইন্ডিয়া-র যে ক'টি গাড়ি রয়েছে, এই গাড়িটি তার মধ্য়ে সবথেকে দামিগুলির অন্যতম। যার দাম প্রায় ৯ কোটি টাকা!
প্রসঙ্গত, এর আগে একবার এই একই মডেলের গাড়ির টেস্ট ড্রাইভ করেছিলেন গৌতম সিঙ্ঘানিয়া। সেই সময় এই গাড়িটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
এইচটি অটো-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, গত অক্টোবর মাসে ল্যাম্বরগিনি রিভলটোর টেস্ট ড্রাইভ করার সময় নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন গৌতম সিঙ্ঘানিয়া।
তাঁর অভিযোগ ছিল, ওই গাড়িটির ডেলিভারি পাওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মধ্য়েই তাঁকে এক চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল মুম্বইয়ের ট্রান্স-হারবার লিঙ্ক রোডে।
তিনি জানান, চলতে চলেত হঠাৎই তাঁর সেই গাড়িতে বৈদ্যুতিক সমস্যা দেখা দেয়। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ তাঁকে সেই গাড়ির মধ্যেই আটকে থাকতে হয়। তাঁর আরও দাবি, তিনি যে এটা নিয়ে ল্যাম্বরগিনির ভারত বা এশিয়া শাখায় অভিযোগ জানাবেন, সেটাও সম্ভব হয়নি। কারণ, তাদের তরফে কেউ সেই অভিযোগ শুনতেই আসেনি!