জিতেনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, দলীয় নেতাকে বহিষ্কার বিজেপির

জিতেন রাম মাঝিকে ঘিরে বিহারের রাজনীতি কার্যত তপ্ত। গত কয়েকদিন ধরেই ব্রাহ্মণদের সম্পর্কে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুস্তানি আওয়াম পার্টির নেতা জিতেন রাম মাঝির মন্তব্য ঘিরে ক্রমাগত বিতর্কের পারদ চড়তে থাকে। জিতেন রাম মাঝির ওই বিতর্কিত মন্তব্যের পরই বিজেপির নেতা গজেন্দ্র ঝা ,এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেন, জিতেন রাম মাঝির জিভ যে কাটবে সে ১১ লাখ টাকার পুরস্কার পাবে। এরপরই বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। তোলপাড় হয় বিহারের রাজনীতি। এদিকে, হিন্দুস্তানি আওয়াম পার্টির তরফে বিজেপির ওই নেতা গজেন্দ্র ঝায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন দলের মুখপাত্র।এদিকে বিতর্কের পারদ চড়তেই মঙ্গলবারই দল থেকে গজেন্দ্র ঝাকে বহিষ্কার করে বিজেপি। জিতেন রাম মাঝি সম্পর্কে বিতর্কিতমূলক মন্তব্যের জেরে এমন পদক্ষেপ গজেন্দ্র ঝার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির মধুবনি জেলার প্রধান শঙ্কর ঝা গজেন্দ্র ঝাকে লিখিত আকারে দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন বলে খবর বিজেপি সূত্রে। গজেন্দ্র ঝাকে জানানো হয়েছে, তাঁর আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে পার্টির ভাবমূর্তিতে প্রভাব পড়ছিল। যার ফলে এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে দল। এছাড়াও তাঁর আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য গজেন্দ্র ঝাকে কয়েকদিনের মধ্যেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা গজেন্দ্র ঝার মন্তব্য বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।মূলত বিহারের নীতীশ সরকারের শরিক জিতেন রাম মাঝির দল হিন্দুস্তানি আওয়াম পার্টি। যে সরকারে রয়েছে বিজেপিও। ফলে শরিক দলের তাবড় নেতা সম্পর্কে বিজেপি নেতা গজেন্দ্রর বক্তব্যে যে বিহারের জোট রাজনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে , তা অনেকেই আঁচ করেছিলেন। দুই শরিক দলের নেতার এমন অবস্থানে বিজেপির জোট রাজনীতির অঙ্কে যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে না, তা বলাই বাহুল্য। সেই জায়গা থেকে বিজেপির এমন পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে দলিত সম্প্রদায়ের এক সভায় ব্রাহ্মণদের সম্পর্কে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন জিতেন রাম মাঝি। যদি পরে সেই মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি জানান, এই মন্তব্য দলিতদের উদ্দেশ্য করে তিনি করেন, ব্রাহ্মণদের নিশানা করা তাঁর লক্ষ্য ছিল না।