একদিনে পুরোটা গড়ে ওঠেনি। ছিল বহুদিনের গবেষণাও। বেঙ্গালুরুর আইটি কর্মী যোগেশ গৌড়া বলছেন, আগে তাঁর কাছে ছিল গরু। তবে কোভিডের দ্বিতীয় স্রোতের সময় তিনি গরু বিক্রি করতে বাধ্য হন, কারণ তাঁর মা তখন কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন। আর তাঁর কাছে অনেকেই দুধ কিনতে আসতেন রোজ। ফলে সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পরে, তিনি তখন বিক্রি করেন গরু। মনোনিবেশ করতে থাকেন ছাগলে। এরপর শুরু হয় ছাগল প্রতিপালন। ৪০ টি ভেড়া নিয়ে দুধের ব্যবসা চালিয়ে আজ 'সুখী' আইটি ফার্মে কর্মরত সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার যোগেশ গৌড়া।
সাত বছর আগে বেঙ্গালুরুর উত্তরাহল্লিতে তিনি এই পশুপ্রতিপালনের উদ্যোগ শুরু করেন। শুরু করেছিলেন ৮ টি গরু দিয়ে। বর্তমানে তিনি ১০০ লিটার দুধ সরবরাহ করেন কর্ণাটক মিল্ক ফেডারেশনকে। উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুর মতো ব্যস্ত শহরে আচমকা কাউকে ভেড়া প্রতিপালন করতে দেখাটা খুব একটা সাধারণ বিষয় নয়। যেখানে গাড়ির দাপটে থমকে যায় ট্রাফিক, অনবরত প্রযুক্তিনগরীর ব্যস্ততায় মানুষ শ্বাস ফেলার সময় পান না, সেই শহরের এক কোণে বসে যোগেশ কার্যত চোখ খুলে দিয়েছেন অনেকের। যোগেশ বলছেন, তাঁর ব্যবসার এতবছরে কোনও প্রতিবেশীই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি ছাগল প্রতিপালন নিয়ে। দিব্য শহরের বুকে চলছে তাঁর ব্যবসা। নিয়ম মতো ছাগলদের ভুট্টা, ভুশো খেতে দেন যোগেশ। পুষ্টিকর ও সাশ্রয়ের খাবার হিসাবে তিনি ছাগলদের দেন কাঁচা কলা ও আখের ফেলনা অংশ। আরও পড়ুন-অর্থ, প্রেমভাগ্য তুঙ্গে রাখতে কিছু বাস্তুটিপস! রান্নাঘরে ঘি, বঁটি রাখুন এইভাবে